আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের আনুকূল্যে ক্ষমতায় টিকে আছে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ১৯৮০ সালে ১৯ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুদিন পূর্বে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল-সমাবেশ হয়েছে, সেখানে এমপি মন্ত্রীরা হুমকি দিয়েছেন। হুংকার দিয়েছেন, সন্ত্রাসী ভাষায় কথাবার্তা বলেছেন। এতই যদি আপনারা হুমকি দেন, ধমকি দেন, তাহলে আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য চান কেন? আমরা এই কথাটার ব্যাখ্যা চাই। আমরা জানতে চাই এ সরকারের কাছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এবং ভারত সরকারের কাছেও।
তিনি আরও বলেন, আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন এ কথার অর্থ কী? এর অর্থ দাঁড়ায় ‘সরকার টিকে আছে ভারতের আনুকূল্য’। এটা মানুষ জানতে চায়, এটা অনেক জরুরি কথা। এরা (আওয়ামী লীগ) এমন সব মানুষকে মন্ত্রী বানিয়েছে, তারা কখন কী বলে নিজেরাও জানে না।
ফখরুল বলেন, আজ প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে স্বাধীন রাষ্ট্র থাকবে কি থাকবে না। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক দেশ থাকবে কি থাকবে না। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে কি মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে এখানে একটি সমৃদ্ধির বাংলাদেশ আর তৈরি করবে কি করবে না। কারণ আমরা দেখলাম আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে তারা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধানকে পরিবর্তন করেছে।
আজ সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, চালের দাম বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে, এমন কোন পণ্য নেই যার মূল্য দুই গুণ, তিন গুণ, এমনকি চার গুণ বাড়েনি। কারণ কী, প্রধানমন্ত্রী বলেন বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট। বিশ্ব অর্থনীতিতে যাদের সংকট থাকে, তাহলে আগে থেকে আপনারা কেন ব্যবস্থা নেননি? বারবার করে বলা হয়েছিল, আপনারা যে লুটতরাজ করছেন এগুলো বন্ধ করেন, বন্ধ করেন। কিন্তু করেননি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের দুর্নীতি শুরু হয়েছে লুণ্ঠন শুরু হয়েছে, এটার জন্য এককভাবে দায়ী হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। আজ আওয়ামী লীগ দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে দিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা হক মিলন, মীর শরাফত আলী সফু, আজিজুল বারী হেলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।