ফরিদপুর-১ আসনে দুই হেভিওয়েটকে জনপ্রিয়তায় পেছনে ফেলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলন

ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই হেভিওয়েটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ফরিদপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। ঈগল প্রতীকের এই প্রার্থীর পক্ষে প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসমর্থন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে দোলন বিজয়ী হবেন বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

তরুণ রাজনীতিক দোলন ব্যক্তিজীবনে ক্লিন ইমেজের। ফরিদপুর-১ অঞ্চলের কৃতী পুরুষ প্রয়াত কাঞ্চন মুন্সীর উত্তরসূরি দোলন গোটা অঞ্চলে মানবকল্যাণ ও জনসেবায় গত দুই দশক ধরে বহুমুখী কর্মকাণ্ড করে আসছেন।

ফরিদপুর-১ আসন গঠিত আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী নিয়ে। এই তিন উপজেলায় মানবকল্যাণী হিসেবে দোলন সাধারণ মানুষের কাছে আগে থেকেই ব্যাপক জনপ্রিয়। বিশেষ করে তিন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরাও দোলনের উদ্যোগের সুফলভোগী।

স্থানীয়রা বলছেন, গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের কাছে দোলন সব সময়ের সাথী। অনায়াসে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তিনি মিশে যেতে পারেন। দোলনের পরিবারের রয়েছে ফরিদপুর অঞ্চলে শতবছরের সমাজসেবার ঐতিহ্য। ভোটের মাঠে তাঁর এগিয়ে থাকার পেছনে ব্যক্তি ইমেজের পাশাপাশি এসব ইতিবাচক দিকের প্রভাব রয়েছে।

এ আসনের দুই প্রার্থী আব্দুর রহমান ও শাহ জাফরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর রহমান দোলন। দেশজুড়ে পরিচিত ঢাকা টাইমস সম্পাদক দোলন পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে সমাজসেবা করে আসছেন দীর্ঘকাল। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দোলনের নানা উদ্যোগ লাখো মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, জনপ্রতিনিধি না হয়েও দোলন যেভাবে কাজ করেছেন, সেটিই তাঁর জনপ্রিয়তার মূল কারণ। সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাঁর প্রশ্নহীন গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। উন্নয়ন পকিল্পনায় দূরদর্শিতাসহ বহুমুখী প্রতিভার কারণে দোলনই এমপি হওয়ার যোগ্য।

ভোটের লড়াইয়ে নামার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনকে নিয়ে সাধারণ জনতার আলোচনা চলছেই। ক্লিন ইমেজের দোলনের ওপরই আস্থা বেশি রাখছেন আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষ।

রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তারা বলছেন, মেধা, যোগ্যতা, জনসেবা ও পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে দোলন এমপি হলে ফরিদপুর-১ আসন মডেল জনপদ হবে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, ‘যখন জনপ্রতিনিধি ছিলেন না, তখন থেকেই দোলন জনপ্রিয়। মানবিক কর্মকাণ্ডের ফলে সব মহলেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দোলনের মতো পরোপকারী ব্যক্তি এমপি হোক সেটিই আমরা চাই। দোলন বদলে দেবেন তিন উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র।’

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কোবাদ হোসেন বলেন, ‘আরিফুর রহমান দোলন জনগণের মনোনীত প্রার্থী। জনগণই তাকে ভোটে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাবেন। অন্য প্রার্থীরা এমপি হলে কি করবেন আর দোলন কি করবেন তা সাধারণ জনতা ভালোভাবেই জানে। জনগণ তাদের যোগ্য নেতা হিসেবে দোলনকেই বিজয়ী করবেন।’

বোয়ালমারী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হান্নান মোল্লা বলেন, ‘অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনের সময় এলাকায় দেখা যায়। আর দোলনকে এই আসনের মানুষ সবসময় কাছে পায়। তিনি সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। মানুষের জন্য তাঁর ত্যাগ রয়েছে। ভোটের মাঠে দোলনের জনপ্রিয়তা বেশি থাকাটাই স্বাভাবিক।’

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিয়োদ্ধা রোকন উদ্দিন মাস্টার বলেন, ‘আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষের কাছে দোলন নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়। ভোটের মাঠে সেটি ক্রমশ প্রকাশও পাচ্ছে। দুই দশক ধরে এলাকার উন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে আসছেন। সব দিক দিয়েই দোলনই এবার যোগ্য প্রার্থী। ভোটাররা কাঞ্চন মুন্সীর সুযোগ্য এ উত্তরসূরিকে তাঁর যোগ্য মূল্যায়ন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’