ঈগল মার্কা জিতলে ফরিদপুর-১ আসনে অনিয়ম দুর্নীতির সমূল উচ্ছেদ হবে, জয় হবে মানুষের

ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষের জীবনমান উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে জীবনবাজি রেখে কাজ করবেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন।

তিনি বলেন, ‘ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করতেই ভোটে লড়ছি। আমি এমপি হলে আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর সব মানুষের এমপি হবো। আপনারা আমাকে সবসময় পাশে পেয়ে আসছেন, এমপি হলে আরো বেশি করে পাবেন।’

নির্বাচনী প্রচারের নবম দিনে মঙ্গলবার মধুখালী উপজেলায় বেশ কয়েকটি নির্বাচনী সভা, পথসভা ও গণসংযোগ করেন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।

মধুখালীতে নির্বাচনী প্রচারে সর্বস্তরের হাজার-হাজার জনতা ঈগল মার্কাকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল সহকারে দোলনকে স্বাগত জানান। পরে আয়োজিত সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ ঈগল মার্কার সমর্থনে বক্তব্য দেন।

দোলন তাঁর বক্তব্যে পবিত্র কাবা শরীফ ছুঁয়ে শপথের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আপনারা আমাকে এমপি বানালে আমি বেতন-ভাতার এক টাকাও নিজের জন্য ব্যয় করবো না। ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দেবো।’

ফরিদপুর-১ আসনের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তাঁর পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে দোলন বলেন, ‘আমি আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীকে স্মার্ট ও মডেল জনপদ হিসেবে গড়তে চাই। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিজ অর্থায়নের পাশাপাশি সরকারের বরাদ্দ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করবো।’

কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভয়ভীতি দেখালে ঘাবড়ে না গিয়ে ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়ার আহ্বান জানান দোলন। বলেন, ‘ভয়ভীতি দেখালে ঘাবড়াবেন না। দেশে আইন আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আছে, তারা ব্যবস্থা নেবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে ঈগল মার্কার এ প্রার্থী আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন এই আসনের সাবেক এমপিরা তিন উপজেলার মানুষের জন্য কিছুই করেননি। একজন তো অনিয়ম, দুর্নীতি, ভূমিদস্যুতা, দুর্ব্যবহার ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। আরেক জন সকালে এক দল বিকালে আরেক দল করেন। এমন নেতাদের ওপর ভরসা রাখবেন না। অতীতে যারা ঘাড় ধরেছে, এখন পায়ে ধরলেও তাদের কথায় ভুলবেন না।’

আরিফুর রহমান দোলন নির্বাচনের আগে ফরিদপুর-১ অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প ও বিশেষ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেসব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিল্প-কারখানা গড়ে এখানকার হাজার হাজার ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। এছাড়া আমি একটি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার ঘোষণাও দিয়েছি।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ঈগল প্রতীকের এ প্রার্থী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলেও দলের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। সুতরাং নির্ভয়ে কাজ করে ঈগল মার্কাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও আমি আপনাদের ঘরের ছেলে ঘরেই থাকবো।’

নারীদের ঈগল প্রতীকে ভোট দেওয়ার এবং ভোটারদের কাছে যাওয়ার আহ্বান জানান ঈগল মার্কার প্রার্থী দোলন। বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ঈগল মার্কা বিজয়ী হলে আপনাদের অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা হবে। আমি কারো হক নষ্ট হতে দেবো না।’

প্রসঙ্গত, ঢাকা টাইমস সম্পাদক ও কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন এ অঞ্চলের কৃতী পুরুষ প্রয়াত কাঞ্চন মুন্সীর উত্তরসূরি। গোটা অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারসহ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পরিবারটির ভূমিকা সুবিদিত।

আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী নিয়ে ফরিদপুর-১ আসনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দোলন ক্লিন ইমেজ, জনসমর্থন আর সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতাসহ সব দিকেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। ঈগল মার্কার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে ফরিদপুর-১ আসনে।