পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে তারেক রহমানের যে ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন সেটা অনেক ভুলে ভরা এবং এটা রহস্যজনক ও সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আবেদনে হোম অফিস লেখা রয়েছে। কিন্তু এটা হবে ইমিগ্রেশন কমপ্লিম্টে…। বাংলাদেশ এ্যাম্বাসি লেখা আছে। কিন্তু এটা হচ্ছে হাইকমিশন। তারপর ঠিকানা ৬৮ সংখ্যার পর ‘কমা’নেই। এছাড়া আবেদনে যে ফোন নাম্বার দেয়া আছে। এটা থাকে না। তারপর লেখার যে টাইপ এই ধরণের টাইপে এসব আবেদন লেখা হয় না। এরপর মির্জা ফখরুল আবেদনের সম্বোধনসূচক শব্দ ‘ডিয়ার স্যারস’পড়ে উচ্চস্বরে হেসে ফেলেন। তিনি বলেন, এখানে এসআইআর এর জায়গায় লেখা হয়েছে এসআইআরএস।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালযে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই দেশের আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা দিয়ে ট্রাভেল পারমিট নিয়েছেন। সরকারের লোকদের পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছেন মর্মে যে প্রচার চালাচ্ছে তা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।
তিনি বলেন, তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান। তিনি একজন সম্মানিত নাগরিক। তার বিরুদ্ধে সরকার ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রাচার বন্ধের জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। ফখরুল বলেন, সরকারের লোকজনের এসব বক্তব্য-বিবৃতির কারণে তারেক রহমানের জীবন এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছে।