ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্রসংগঠনটির আগামী নেতৃত্বে কারা আসবেন এর একটি সুপারিশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে তিনি শিগগির কমিটি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারা।
গতকাল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই দিনের এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি ছাত্রলীগকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ দেন। পরে রাতে গণভবনে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ দ্বিতীয় অধিবেশনে ছাত্রলীগের নেতারা নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ে একটি তালিকা করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারাও। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে গণভবনে। সেখান থেকেই আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘প্রার্থীদের তালিকা আমরা আমাদের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছি।চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনিই দেবেন।
উপস্থিত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে সভাপতি বলেন, কমিটির ঘোষণা যেকোনো সময় নেত্রী দিতে পারেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রলীগের নেতারা ছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এবার সভাপতি পদে ৬৬ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের সম্মেলনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন বাদ পড়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে।
শুক্রবার রাতে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের এক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতাদের শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন সবাইকে শনিবার ছাত্রলীগের সম্মেলনস্থলে যেতে। সেখানে যারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তাদের সবার নাম ঘোষণা করতে। এরপর প্রার্থীদের নাম নিয়ে গণভবনে চলে আসার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আগে ছাত্রলীগে মেধাবী ছাত্রদের নেতা বানানো হতো। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত মেধাবীরা। ছাত্রলীগকে আবার আগের জায়গায় আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।