একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড় ঝাপ শুরু হয়েছে বেশ আগ থেকেই। তবে এবারের নির্বাচনকে কঠিন পরীক্ষা হিসেবে দেখে দলটি মনোনয়নের ক্ষেত্রে পা ফেলছে বেশ হিসেব করে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনয়নের জন্য ১১ সদস্যের একটি বোর্ড আছে। বোর্ডর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত মারা যাওয়ায় তা ১০ সদস্যে পরিণত হয়েছে। সদস্যরা হলেন সভাপতি শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরুল্লাহ, শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের ও রশিদুল আলম।তবে দলটির দায়িত্বশীল মহল থেকে পাওয়া তথ্য জানা যাচ্ছে: নির্বাচনে নৌকা প্রতীক কাকে দেওয়া হবে, তা দেখছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার বিভিন্ন উইং এবং দেশি বিদেশী জরিপ প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগাচ্ছেন। আওয়ামীলীগের উচ্চপর্যায়ের সূত্র পলিটিক্সনিউজকে নিশ্চিত করেছে, মনোনয়ন চূড়ান্তে ৮টি রিপোর্ট ও সেগুলোর সারসংক্ষেপ নিয়ে আরেকটি রিপোর্ট নিয়মিত যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। এর মধ্যে রয়েছে তিন গোয়েন্দা সংস্থা, আওয়ামী ঘরানার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম , সাবেক আমলাদের একটি দল, একটি দেশীয় ও একটি আন্তর্জাতিক জরিপ প্রতিষ্ঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ মনোনীত আওয়ামী লীগের কয়েকজনের একটি দল। এই সবগুলো জরিপের ফল একসাথে করে আরেকটি রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।
এই ৮ মাধ্যমে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অনেকদিন আগেই বলে রেখেছিলেন এবার জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে।
এদিকে সব যাচাই বাছাই শেষে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা মাথায় নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। অন্তঃকোন্দলের সামাল দিতেই এমনটা ভাবছে দলটি।