টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন আহমদ হোসেন । ১৯৭৪ সালে নিজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন ১৯৭৭ সালে । বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিতে সাফল্যের মুখ দেখেন স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে। ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ১৯৮৪ সালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৮৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে একজনই দায়িত্ব পালন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮ সালে ছাত্রলীগের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সমীকরণে তাকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ সময় সভাপতির অনুপস্থিতিতে দুই মাসের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করেন তিনি।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বাস রেখে রাজনীতির দীর্ঘ পথ হাঁটা আহমদ হোসেন ১৯৯৩ সালে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে প্রথমবার গঠিত উপকমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরপর তিনবার উপকমিটির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আহমদ হোসেন। এরপর আরও কিছুদিন কেন্দ্রীয় কমিটির ‘পর্যবেক্ষক সদস্য’ (অবজারভার মেম্বার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে দলের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আহমদ হোসেনকে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পরের বছর প্রথম সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হলে আহমদ হোসেনকে আওয়ামী লীগের এক নাম্বার সাংগঠনিক সম্পাদক করে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সর্বশেষ কাউন্সিলে(২০১৬) তৃতীয়বারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেট বিভাগের দায়িত্ব পান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন পলিটিক্সনিউজের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলকের সাথে। আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল
পলিটিক্সনিউজ: আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি’র অনেকগুলো দাবি আছে। বিএনপি বলছে, সেগুলো পূরণ না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন?
আহমদ হোসেন: বিএনপির এসব বক্তব্য বাগাড়ম্বর। কার্যক্ষেত্রে বিএনপি নির্বাচনে এসে গেছে। তারা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা তৈরি করে ফেলছে। অনেক জায়গা গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে দিয়েছে। এগুলো বাগাড়ম্বর, পাবলিককে ধোকা দেওয়া। ধোঁকাবাজি পার্টির ফিলসফি হচ্ছে পাবলিককে ধোকা দেওয়া। বলবে একটা, করবে আরেকটা। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসছে। তারা নির্বাচনে না আসলে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করছে কেন? কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রংপুর, খুলনা, এখন গাজীপুরে আসছে। বাকিগুলোতেও যাবে।তারা আগে বলেছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। আসতে আসতে সবকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চলে এসেছে। জাতীয় নির্বাচনেও চলে আসবে। নেত্রীকে কারাগারে রেখেই নির্বাচনে আসবে বিএনপি।
খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বন্দি নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ জন্য আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। শাসন বিভাগের কোন এক্সিকিউটিভ আদেশে তার শাস্তি হয়নি। সরকার বিশেষ ক্ষমতা আইনেও তাকে গ্রেফতার করেনি। আজ বিএনপি যতই কথা বলুক আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী মনে করে খালেদা জিয়া দুর্নীতিবাজ।
এসময় আহমদ হোসেন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রধানদের দুর্নীতির কারণে সাজাপ্রাপ্তির বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন পার্ক। তিনি আজ দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ। সেও দুর্নীতির দায়ে দণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে । তামিলনাড়ু জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন জয় ললিতা। তাকে সেখানকার জনগণ মা বলে ডাকতো। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি কারাগারেই মারা গেছেন। তাদের মতই খালেদা জিয়া দণ্ড প্রাপ্ত।
পলিটিক্সনিউজ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে কোন বিষয়গুলোকে আওয়ামী লীগের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন?
আহমদ হোসেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং জয়লাভ করেন। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবসময় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন। যে নেতা চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে পারে না, সে আসল নেতা নয়।
সমাজ থেকে মাদকের ক্যানসার নির্মূল করা একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। এটা একটা কঠিন কাজ। এ কঠিন কাজে হাত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করতে হলে তার সার্জারি করতে হবে। সাধারণ ওষুধে কাজ না হলেই সার্জারি করতে হয়। সার্জারি করতে গেলে তো রক্ত ঝরবে।
একজন রাজনীতিবিদ শুধু আগামী নির্বাচনের কথা ভাবে, কিন্তু একজন রাষ্ট্রনায়ক আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু রাজনীতিবিদ নন , একজন রাষ্ট্রনায়ক।
তিনি আগামী প্রজন্মের কথা ভাবেন। বর্তমান বা আগামী প্রজন্ম যদি মাদকের কারণে ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে দেশ- জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এখানে তিনি রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞায় দূরদর্শিতার প্রমাণ দেখিয়েছেন। সেটা ভেবেই মাদকের হাত থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
পলিটিক্সনিউজ : বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ করার পর আওয়ামী লীগে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। এ বিষয়টা কিভাবে দেখছেন?
আহমদ হোসেন: সবাই লাইফ লং রাজনীতি করতে পারে না। আমাদের সময় ছাত্রলীগের নেতা কম ছিল না। সবাই তো রাজনীতির সঙ্গে নাই। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে আমারও অনেক সময় লেগেছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার জন্য বাছাইয়ের ব্যাপার আছে। ন্যাশনাল লিডারশীপের ব্যাপার আছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকাটা পরীক্ষা ও যোগ্যতার অংশ। এতে কমিটমেন্টটা আরও সুদৃঢ় হয়। যাচাই বাছাই করেই আওয়ামী লীগ সভাপতি পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের দিয়েই দল সাজান।
আহমদ হোসেন এ বিষয়ে আরও বলেন, যারাই আওয়ামীলীগের কমিটিতে এসেছেন সবাই পরীক্ষিত ও তাদের ফাউন্ডেশন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ ছাড়ার পরে অনেকে দীর্ঘ সময় পরীক্ষা দিতে পারেন না। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই আসবে। কালকে ছাত্রলীগ ছাড়লাম আজকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে চলে আসবো এই প্রত্যাশায় যারা ভুগে তাদের মাঝে হতাশা কাজ করে।
ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতাই আবার আমাদের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনে যাচ্ছে, নেতৃত্ব দিচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বলতে আওয়ামী লীগকেই বুঝায়। বিএনপিসহ প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল হিসেবে যাদের বুঝানো হয় তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাদের কোন সাংগঠনিক ভিত্তি নাই। বিএনপি হচ্ছে এন্টি আওয়ামী লীগ সেন্টিমেন্টদের প্লাটফর্ম। বাংলাদের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ। এখানে পরীক্ষিত ছাড়া যাকে তাকে নেতা বানানো হয় না।
পলিটিক্সনিউজ: কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতে গিয়েছেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনোভাব কেমন দেখেছেন?
আহমদ হোসেন: সেদিন ভারতীয় জনতা পার্টি ( বিজেপি )’র আমন্ত্রণে ভারতে গেলাম। বাংলাদেশের প্রতি তারা খুবই আন্তরিক।ভারতের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত বাংলাদেশ এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অনেক সেনা আত্মাহুতি দিয়েছে। সে সময় ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। ভারতের সহযোগিতা না পেলে নয় মাসে মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন হত না। এটা আমরা সারাজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে সঙ্গে স্মরণ করব।
রক্ত দিয়ে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সে সম্পর্ক কখনও ছিন্ন হওয়ার নয়। একই আত্মার বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নীতিগত- আদর্শগত।
পলিটিক্সনিউজ: ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনীতি থেকে আজ কেন্দ্রীয় নেতা। আগামী দিনে নেত্রকোনা ৫ সংসদীয় আসনের রাজনীতি নিয়ে ভাবনা কি?
আহমদ হোসেন: আমার জন্ম নেত্রকোনায়। ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে এখানকার আওয়ামী লীগ বলতে সকলে আমাকেই জানতো, তখন আমি ছাত্র নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগও আমাকে ছাড়া কাউকে চিনতো না। তখন এখনকার মত এত নেতা ছিল না।
কারাগারে ৪ নেতা হত্যার পর প্রতিবাদ করে মিছিল করেছি। ৪ নেতাকে হত্যার তিন দিন পর্যন্ত রেডিও বন্ধ ছিল। ক্ষমতায় কে যায় তখন বুঝা যাচ্ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর ছবি নিয়ে আমরা মিছিল করেছি। তখন তো মিছিলে এত লোক আসেনি।
আমাদের রাজনৈতিক বিকাশ হয়েছে মৃত্যুর মিছিলে। আজকে ছাত্রলীগ নেতাদের বিকাশ হচ্ছে স্বপ্নের মিছিলে ।
স্বপ্ন দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে বের হওয়ার পর মনে হতো ঘরে ফিরে যেতে পারবো কিনা। ৭৫ এর পর অনেক ছাত্রলীগের নেতারা জীবন দিয়েছেন।
৯১ তে নেত্রকোনা ৫ এ মনোনয়ন পেলে আমি এমপি হতাম দাবি করে তিনি বলেন, তখন আমি ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পথে। আমি এলাকায় তখন ক্রেজ। আমার ফ্যামিলি ছিল না। বউ- বাচ্চা ছিল না। দায়-দেনা ছিল না। এমপি হলে হয়তো জীবনে বিয়েও করতাম না । ৯৬ এ আমাকে নমিনেশন দিলে আমি এমপি হতাম। কেউ- কেউ বলে ২০০১ সালে আমাকে দল থেকে নমিনেশন দিলে এমপি হতাম। আর ২০০৮ এ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্ট যেতাম। আমি বলিং করছি অনেক দিন থেকে। একটা উইকেটও ফেলতে পারিনি। আমার কাছে আর কোন ওভার নেই। লাস্ট ওভারের লাস্ট বলটা। এই বলে যদি উইকেট পড়ে। সাজ ঘরে চলে যাব। তবে এটা প্রতীকী অর্থে বলা। এবার যদি আমার নমিনেশন হয় ওকে। না হলে ইলেকশন পলিটিক্স গুডবাই দিব। নেত্রী যদি মনে করেন সংগঠনের রাজনীতি করার প্রয়োজন, করবো। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ঋণী । প্রাপ্তিটা আমার কাছে মুখ্য নয়। উনি আমায় যে দায়িত্ব দিয়েছে রক্ত দিয়ে হলেও এই ঋণ শোধ করে যেতে চাই।
পলিটিক্সনিউজ: একাদশ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে কতটা আশাবাদী?
আহমদ হোসেন: আশা নিয়েই তো মানুষ বেঁচে থাকে। আশা আছে বলেই তো কাজ করি। আশা আছে বলেই সময় পেলেই এলাকার মানুষের কাছে ছুটে যাই। তারা আমায় ভালোবাসেন।
পলিটিক্সনিউজ: নেত্রকোনা ৫ নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি?
আহমদ হোসেন: শুরু থেকে আজ পর্যন্ত গণমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতি করছি। তাই মানুষের জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার একটা বিউটি আছে আমি আউট এন্ড আউট অনেস্ট। এলাকার মানুষকে বিনা টাকায় চাকরি দেই। চাকরী দেওয়ার জন্য একটা পানও খাই না। এমপি নির্বাচিত হলে এটা চলমান থাকবে। এলাকায় কোন দুর্নীতি ও সন্ত্রাস থাকবে না। পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করা হবে। অযথা কাউকে হয়রানী করা হবে না। এলাকায় রাজনৈতিক সহাবস্থান থাকবে। এলাকা আমার অর্থনৈতিক উপার্জনের কোন ফ্যাক্টরি হবে না।
আমি নির্বাচিত হলে এলাকার গরিব ছাত্রদের জন্য বৃত্তি ফান্ড করব, যাতে অর্থের অভাবে কারও পড়াশোনা বন্ধ না হয়। অনেক জায়গায় ভালো রাস্তা নেই, সেসব এলাকায় পাকা রাস্তা করব। স্বাস্থ্যসেবায় পিছিয়ে থাকা গ্রামগুলোর মানুষ যাতে সহজেই ডাক্তার পান, সেই ব্যবস্থা করব। সব মানুষের জন্য আমার দরজা খোলা থাকবে।
আমি বাংলাদেশে একজন দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ হতে চাই না। এমপি হই অথবা না হই। আমি প্রধানমন্ত্রীর মাইন্ডটাকে শতভাগ বুঝি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন টাকা নিয়ে কেউ কবরে যাবে না, অর্থ-বিত্তর দরকার আছে, তবে টাকা কামাতে গিয়ে দুর্নীতি কোর না। উনি আমাদের কাছে আদর্শ।
তিনি আরও জানান, লোকাল পলিটিক্স লোকালি দেখতে হবে। লোকাল পলিটিক্সকে জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে ফেললে হবে না। আমি এমপি হব সকল দলের মানুষের। কেউ ন্যায় সঙ্গত দাবি করলে তার কাজ করে দিব।