বিএনপির চেয়ে দ্বিগুণের বেশি ভোট পেয়ে গাজীপুরে জিতল আওয়ামীলীগ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪১৬ কেন্দ্রের ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নৌকা প্রতীকে ৪,১০,০০০ ভোট পেয়ে নিশ্চিত বিজয়ের পথে । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের ধানের শীষে পড়েছে ১, ৯৭, ৬১১ ভোট। রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল এই ফল ঘোষণা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিকাল চারটার পর শুরু হয় ভোট গণনা। বিভিন্ন কারণে ৯ টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (নৌকা), বিএনপি মো. হাসান উদ্দিন সরকার (ধানের শীষ), বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে), বাংলাদশে ইসলামী ফ্রন্টের অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান (মিনার) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা)। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি মার্কায় লড়ছেন ফরিদ আহমদ। প্রার্থী সাত জন হলেও মূল লড়াই হয়েছে জাহাঙ্গীর আলম ও হাসান সরকারের মধ্যে।

ব্যালট পেপার ছিনতাই, দুপুরের মধ্যেই ব্যালট শেষ হয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টকে দায়িত্ব পালন করতে না দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুরে নির্বাচন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন দলটির প্রার্থী হাসান সরকার।

জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শতাধিক কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।

তবে দুই কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনের দলীয় প্রধান সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, প্রার্থীর দুর্বলতা আর দলীয় কোন্দলের কারণে অনেক জায়গায় তাদের এজেন্ট উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গাজীপুরে এবার মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এ সিটিতে এবার নতুন ভোটার এক লাখ ১১ হাজার। এছাড়া, শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৮টিকে সাধারণ চিহ্নিত করা হয়।

৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এসব ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে ৩৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫৪ জন। সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে ৮৪ নারী কাউন্সিলর নির্বাচন করছেন।