নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের অহেতুক মন্তব্য না পরামর্শ দিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই পরামর্শ দেন তিনি।
কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে যারা বিদেশি রাষ্ট্রদূত আছেন তাদেরকে প্রতি বলতে চাই আপনারা অহেতুক কথাবার্তা বললে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। জনমনে আপনাদের নিয়ে ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়। কাজেই বিএনপির কথা আমলে নেয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
তিনদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করা বিষয়ক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আন্দোলন করার মুরোদ নেই, আবার হুমকি দেন। কি আন্দোলন করবেন তা জানা আছে। গত ৯ বছরে কিছুই করতে পারেন নাই।
এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কেবল আন্দোলনের কথা বলছেন কিন্তু তার রূপরেখা তো দেখিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব, শুধু আওয়ামী লীগ না দলটির কোনও সহযোগী সংগঠন যদি ইচ্ছা করে, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছে গণমাধ্যম। দলটি এখন প্রচারসর্বস্ব হয়ে গেছে। কোনও সাংগঠনিক শক্তি নেই। নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট পর্যন্ত তারা দিতে পারে না।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, অন্য বড় কোনও দেশের মতো বাংলাদেশেরও মর্যাদা আছে। আপনাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আপনারা নাক গলাবেন না।
তিনি বলেন, আপনাদের কোনও পরামর্শ থাকলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারেন না। ৭০ বছরের গণতন্ত্রের ইতিহাস ভারতে। সেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি স্থানীয় নির্বাচনে ৩০ শতাংশ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ১২ জনের মতো নিহত হয়েছে। ভারতকে নিয়ে তো আপনারা কথা বলেন না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, অধ্যাপক ড. গোলাম মওলা এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা শিহাব রিফাত আলম।