কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার দায় ছাত্রলীগের ওপর চাপানো সমীচীন নয়। বললেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের নতুন ভবনে দলের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির নিয়মিত সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা কোটা সংস্কারের বিরোধী তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনও কোনও জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। যাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের সমর্থক থাকতে পারে। তবে ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে এই কাজে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, সাড়ে চার দশক সময় ধরে চালু থাকা কোটা পদ্ধতি হঠাৎ করে বাতিল করা যায় না। ইতোমধ্যে কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি হয়েছে। হঠাৎ করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সরব হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের ১৬টি বিকাশ এবং ৫টি রকেট অ্যাকাউন্টে টাকা আসা, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তাদের কথোপকথন, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে করা তাদের অশোভন বক্তব্য, সব মিলিয়ে এটি শুধু কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।
তিনি বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়ে গেছে এবং এনিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানোর একটি প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে। তাই সহজেই বোঝা যায় বিএনপি এই আন্দোলনকারীদের কাঁধে ভর করে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘোলা করার চেষ্টা করছে।