রাজনীতি করতে হলে যে সৎ সাহসের প্রয়োজন তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান। এজন্য নিজেরাই নিজেদের রাজনীতিতে থেকে মাইনাস করে ফেলেছেন। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ (রোববার) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, তারা নিজেরাই নিজেদের মাইনাস করে ফেলেছেন। কারণ দুর্নীতি না করলে তাদের সাজা হতো না। বিএনপি মধ্যরাতের ক্যূ’র মাধ্যমে দলীয় গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে আরপিও পরিবর্তনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার দরকার নেই, তারা নিজেরাই নিজেদের রাজনীতি থেকে মাইনাস করেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া ও না নেয়ার বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশের রীতি অনুযায়ী সংবিধান অনুসারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনও দলের নেতা বা নেত্রীর জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতার জন্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ২১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে তা জনসভার মতো উন্মুক্ত থাকবে না। অনুষ্ঠানে ২৫ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
এছাড়া আগামী ১৮ জুলাই একই স্থানে সারাদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শৈশব থেকে এখন পর্যন্ত সংগৃহীত সকল ছবি নিয়ে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
কাদের বলেন, আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে যাতে নির্বাচনী আচারণ বিধিমালা লঙ্ঘিত না হয় এবং স্থানীয় ভোটাররা বিরক্ত না হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্বাচনী এলাকায় না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে ওই তিন সিটির যারা ভোটার তারা ইচ্ছা করলে যেতে পারবেন। তবে ঢাকা থেকে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন মনিটরিং করা হবে।