পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ার দায়িত্ব ছাত্রলীগকে কে দিল- এমন প্রশ্ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের নির্যাতিতা শিক্ষার্থী রোকেয়া গাজী লিনা।
সহপাঠীর হাত ধরার অপরাধে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আয়োজিত মানববন্ধন তিনি এ প্রশ্ন করেন।
সোমবার (১৬ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর হামলা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। আমরা ভিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। আমরা তার প্রমাণ দেখতে চাই।
মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে নির্যাতনকারীদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে বাকি জড়িতদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
এসব দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এসময় অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান, অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানসহ বিভাগের অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
নিজেদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন শিক্ষার্থীরা। এগুলোতে লেখা ছিল, ‘আমার ভাই বোনের ওপর হামলা কেন?’, ‘আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘হামলা আমার ক্যাম্পাসে, বিচার চাইবো কোনখানে’ ইত্যাদি শ্লোগান।
মানববন্ধনে হামলার শিকার দুই শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ ও রোকেয়া গাজী লিনাও উপস্থিত ছিলেন।
গেলো শনিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দুই সহপাঠী আসাদুজ্জামান ও লীনা প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সূর্যসেন হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন। পরিচয়পত্র দেখালেও তাদের মারধর করেন ওই শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসন ৩ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে। বহিস্কৃতরা হল ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম সারোয়ারের অনুসারী।