ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদকের সাংবাদ সম্মেলন কাভার করতে আসা সাংবাদিকরা হেনস্থা শিকার হয়েছেন। ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ননা থেকে জানা যায়: সংবাদ সম্মেলন শেষে পার্টি অফিসের সামনে থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। এমন সময় নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত একদল শিক্ষার্থী ধানমন্ডি এলাকায় ভাঙচুর শুরু করে। সাংবাদিকরা তাদের ভাঙচুর থেকে নিবৃত্ত করতে চেষ্টায় এগিয়ে যান।
এসময় কয়েকজন ভিডিও জার্নালিস্ট ক্যামেরা নিয়ে এগিয়ে গেলে বাপ্পী একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক’র (সালেহ্ মোহম্মদ রশিদ অলক) মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন অলক।
পরিস্থিতি সমাধানে এটিএন বাংলার স্পেশাল করসপন্ডেন্ট সাঈদ রিয়াজ এগিয়ে গেলে তাকেও হেনস্থা করা হয়। পরবর্তীতে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এগিয়ে এসে দু’পক্ষকে শান্ত করেন। মোবাইল ফোনটিও ফেরত দেওয়া হয়।
উল্লেখ্যে, রাজধানীতে বাস চাপায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহতের পর থেকে আন্দোলন করে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় সোমবার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ হোটেল রেডিসনের সামনে গিয়ে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন। রাজিবুল ইসলাম বাপ্পীও মহিউদ্দিনের অনুসারী। অভিযোগ পাওয়া গেছে, সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার পেছনে ইন্ধোন দেন এ বাপ্পী।