সরকারের উন্নয়ন কাজ তৃণমূলে তুলে ধরতেই উত্তরবঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সফর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলের মানুষ যেন বিএনপি-জামায়াতের গুজবের রাজনীতির বিষয়ে সচেতন হয়, সেজন্য দলের এই সাংগঠনিক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দলকে শক্তিশালী করতে ভবিষ্যতে দেশব্যাপী নৌ ও সড়কপথেও সফর করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই যাত্রা আমাদের নির্বাচনী যাত্রা। এই যাত্রা আমাদের অব্যাহত থাকবে। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর লঞ্চযোগে নির্বাচনী সফর করবো আমরা। এরপর বাই রোডে আমরা চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ যাবো ৷ এই সফরের মাধ্যমে আমরা তৃণমূলে কিছু বার্তা দিতে চাই। সামনের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হবে। প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে তা নিরসন করা হবে। আমাদের এই যাত্রা তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করবে।
উত্তরাঞ্চলগামী আন্তঃনগর ট্রেন ‘নীলসাগর’ এক্সপ্রেসে চড়ে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলটি উত্তরবঙ্গের পথে রওনা দেন। ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি নীলফামারী গিয়ে থামবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই দিনের সাংগঠনিক সফরে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সফরকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের আট জেলায় জনসভা করার কথা রয়েছে। এর নেতৃত্ব দেবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী এই সফরে অন্য নেতাদের মধ্যে আছেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন।
শনিবার যাত্রা পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার অন্তর্ভুক্ত রেলস্টেশনগুলোতে এসব পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।