জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে ‘সংবিধানের আলোকেই সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘সংলাপে সংবিধানের বাহিরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘কৃষক বাঁচাও- দেশ বাঁচাও’ দিবস উপলক্ষে কৃষক সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের নেত্রী আপনাদের সংলাপের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আপনারা নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করুন। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে সংবিধানের আলোকেই।’
নির্বাচনকে ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র পথ উল্লেখ করে হানিফ আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। যাদের জনগণের ওপর আস্থা নেই তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘এই ঐক্যফ্রন্টে এমনও নেতা আছেন যারা দেশের শান্তি ও স্থিতিতে বিশ্বাস করে না। ঐক্যফ্রন্টের এক নেতা কিছু দিন আগে দেশের সেনাবাহিনী নিয়ে চরম উস্কানিমূলক কথা বলেছেন। এটা দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অশুভ তৎপরতার অংশ। এসমস্ত নেতাদের নিয়ে জোট করলে দেশ ও জাতির কোনও উপকার হবে না।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশ্যে হানিফ আরও বলেন, ‘গল্পে আছে পাগলের সুখ মনে মনে। আপনারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সুখ দেখছেন মনে মনে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের ম্যান্ডেট লাগবে। জনগণের প্রতি আপনাদের কখনও
আস্থা ছিলো না। আপনারা ঐক্যফন্ট করে চলে গেছেন বিদেশিদের কাছে।’
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে আপনারা বিদেশিদের কাছে ধর্না দিয়েছেন। ভাবছেন, বিদেশি প্রভুরা আপনাদের ক্ষমতায় বসাবে। এ দেশে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। আপনারা জনগণের কাছে যাওয়ার কথা চিন্তা করেননি।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, ‘দেশের জনগণ আর দুর্নীতিবাজ- সন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এদের কোনও নীতি-আদর্শ নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল ব্যবহার করে ক্ষমতা এসে দল তৈরি করেছে। এরা কখনও জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাস করে না।’