বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দলটির নেতারা কথা বলতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেতে চাইলে বিএনপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।’
রোববার (৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রায় ৩০ মামলায় বেগম জিয়া জামিন পেয়েছেন। আর যে মামলায় রায় হয়েছে সে মামলা আওয়ামী লীগ করেনি, রায়ও আমরা দিইনি। তাই রায়ের বিষয়ে তারা আইনিভাবে আদালতে এগুতে পারে। এটা পুরোটাই আদালতের বিষয়।’
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রথমদিনের আলোচনার বিষয়ে কাদের বলেন, এখন তারা আবার যদি বসতে চান। সেটা আমরা চেষ্টা করবো। আমরা নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমরা ৭ তারিখের পরে যেতে চাইছিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছোট পরিসরে আবারো আলোচনা করা যায়। ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও বলেছেন ছোট পরিসরে তারা আলোচনা করবেন। গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় তারাই লম্বা সময় ধরে বেশি কথা বলেছেন। তাদের ২১ জনের মধ্যে সবাই কথা বলেছেন। আর আমাদের মাত্র ৪ জন কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে একটু আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোরশেদ মন্টু সাহেব জানিয়েছেন, একটি চিঠি আমাদের অফিসে পাঠাচ্ছেন। আমি অফিসে বলে দিয়েছি চিঠি রিসিভ করতে। বিকেলে আমি আমাদের দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করবো।’
সংলাপে আমরা আর বেশি সময় নিতে চাইছি না জানিয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের হাতে সময় খুব কম। ইলেকশন বিষয়ে আমাদের দলের নমিনেশন বিষয়ে ফরম বিতরণের ঘোষণাসহ বেশকিছু কাজ আছে। ফরম বিতরণের পর ইন্টারভিউ সহ জোটের সঙ্গে আলোচনাসহ বেশকিছু কাজ আছে, যোগ করেন কাদের।
সংলাপের মাধ্যমে দুরত্ব কমেছে বলে মনে করেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, দেখুন আলাপ আলোচনার একটি ভাল দিক আছে। সামনাসামনি বসে দেখাদেখিতো হলো, চোখাচোখি হলো। এটাও তো একসময় ছিল না। সেটাতো হলো। আর পরিবেশটা ছিল সৌহাদ্যপূর্ণ এবং খোলামেলা। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের কেউ ইন্টারফেয়ার করতে বলেনি। কাউকে থামিয়ে দেয়া হয়নি। একেবারে স্বাধীনভাবে সেদিন ঐক্যফন্টের নেতারা কথা বলেছেন।