বিএনপির নয়াপল্টনের অফিস এবং গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় মনোনয়ন বাণিজ্যের হাটে রূপান্তরিত হয়েছে বল মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ৩০০ আসনে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দিয়ে তারা তাদের নয়াপল্টনের অফিস এবং গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়কে মনোনয়ন বাণিজ্যের হাটে রূপান্তরিত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, যে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে তাদের মধ্যে ঋণখেলাপি রয়েছে, নয়-দশ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কেউ মনোনয়ন দিয়েছে। ওয়াদুদ ভূঁইয়া খাগড়াছড়ির ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তাকেও নমিনেশন দিয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে চূড়ান্ত চিঠি পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা যত বেশি দিতে পারবে তাদেরকে চূড়ান্ত চিঠি দেওয়া হবে অর্থাৎ ধানের শীষ মার্কা দেওয়া হবে। বিএনপির লজ্জা হচ্ছে কিনা জানি না, এই কাণ্ড দেখে আমার লজ্জা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কেউ যদি দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়, তবে সে নির্বাচন করতে পারবেন না। ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে এই সংবিধান রচিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকে সবসময় সিরিয়াসলি নিতে হয়। আমরা যদি নির্বাচনকে সিরিয়াসলি না নেই তবে সেটি ভুল হবে।
এসময় তিনি বলেন, যারা মনোনয়ন বাণিজ্যের হাট বসিয়েছে এরা যদি ক্ষমতায় যায় তবে এরা দেশটাকেই বিক্রি করে দেবে। সুতরাং এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
আলোচনা সভায় লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মোল্লা জালাল, অরুন সরকার রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।