সারাদেশে যেসব হামলা ও সহিংসতা হয়েছে মোটামুটিভাবে তার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের ওপর হয়েছে। নির্বাচনের আগে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে। সে বিষয়ে আমরা সবাই তৎপর। বললেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
বুধবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকের আগে দলের পক্ষ থেকে তিনি একটি লিখিত দাবি ইসিকে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দুইজন সদস্য নিহত হয়েছেন। যারা তৃণমুলে নির্বাচনী কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।
এইচ টি ইমাম বলেন, কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। পটুয়াখালী, ময়মনসিংহের ফুলপুর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, পাবনার শাহাজাদপুর ও নরসিংদী জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং তাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ, নির্মোহ থেকে ভূমিকা পালন করছে। তারা তাদের চেষ্টা করছে।
বৈঠকের বিষয় নিয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, সব অভিযোগের বিষয়ে কমিশন জানত না। আমরা তাদের অবহিত করলাম। আলোচনা করে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। এসব ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে আমরা কমিশনকে অনুরোধ করেছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
তিনি বলেন, ইসি বৃহত্তম দল হিসেবে আমাদের দায়িত্বের বিষয়টি উল্লেখ করলে, আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছি বলে জানিয়েছি। আমরা বলেছি, আমাদের আক্রমণ করলে রক্ষা তো আপনাদেরই করতে হবে। সেক্ষেত্রে কমিশনও তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নির্দেশ দেবেন এবং ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।
ইসিকে দেয়া লিখিত দাবির বিষয়ে এইচ টি ইমাম বলেন, ইসিতে ১১৮টি সংস্থা নিবন্ধনভুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ওই চারটি সংস্থা সম্পর্কে মারাত্মক তথ্য আছে। এ চার সংস্থা বিএনপি সমর্থিত। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নামে দলীয় কাজ করে। তাই চারটি সংস্থাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লিখিত দাবি জানানো হয়েছে।