গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহের অধিকার সুরক্ষায় আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে দলটির ইশতিহারে বলা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের চেতনায় দেশে গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম নিয়ে নিজেদের লক্ষ্য ও পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে দলটি।
এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে-
সাংবাদিকদের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রস্তাবিত ২১তলা ভবন নির্মাণে সহায়তা প্রদান করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিকাশের ফলে এর অপব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে এক শ্রেণির মানুষ সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে। গুজব শনাক্ত করে ও সত্য তথ্য প্রচারের মধ্য দিয়ে গুজব নিরসনে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন গঠন করে সব গণমাধ্যমের হলুদ সাংবাদিকতা রোধ ও জনগণের সত্য তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতায় সমৃদ্ধ সাংবাদিকতা ও সংবাদমাধ্যম উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে অধিকতর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চর্চায় সাংবাদিকদের উৎসাহিত করা এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন বৈতরণে বৈষম্যমূলক নীতি, দলীয়করণ বন্ধ এবং সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে তার বিকাশে সহায়তা প্রদান করা হবে। গণমাধ্যমবান্ধব আইন করা হবে। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কোনো আইনের অপপ্রয়োগ হবে না।
পেশাদার সাংবাদিকদের কল্যাণের জন্য প্রচলিত উদ্যোগের পাশাপাশি নতুন উদ্যোগ নেয়া হবে।