আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শিরোনামে ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের মানুষের মধ্যে যেমন ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে বিএনপি ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে দেশবাসীকে আবারও চরম হতাশ ও বিভ্রান্ত করেছে। কোনও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে এ ধরনের ইশতেহার দেশের মানুষ আশা করে নাই। এখন জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কাদেরকে বেছে নেবে।
বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নানক বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। তাতে তরুণ প্রজন্মসহ সব মানুষ বেশ খুশি, উজ্জীবিত ও আশাবাদী হয়েছে। আর বিএনপির ইশতেহার রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর ইশতেহার। সরকারি চাকরিতে বয়স তুলে দেয়া তরুণদের সঙ্গে প্রহসন মাত্র।
তিনি বলেন,
একজন দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী তারেক রহমানকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বানাতে, যারা রাতের অন্ধকারে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারে, সে দলের মুখে দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধের অঙ্গীকার হাস্যকর। বিএনপি একদিকে দুর্নীতি ও মুদ্রা পাচার রোধের অঙ্গীকার করছে, অন্যদিকে মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা দেশে-বিদেশে পাচার করছে, যা তাদের মনোনয়ন বঞ্চিত কর্মীদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে তথাকথিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সাক্ষ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাদের পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনা হয়েছে। দেশবাসী জানে, বিএনপি-জামায়াত দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। একজন দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী তারেক রহমানকে দলের চেয়ারম্যান বানাতে, যারা রাতের অন্ধকারে তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে পারে, সে দলের মুখে দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধের অঙ্গীকার হাস্যকর।’
তিনি বলেন, আইএসআইয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের খবর আমরা পত্র-পত্রিকায় পড়েছি। এতে প্রমাণ হয়, বিএনপি-জামায়াত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুলের পাঁয়তারা করছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করতে চাই। বাংলার জনগণ নির্বাচন করবেই করবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সব বিদ্রোহী সরে গেছে। চারজন আছেন, তারাও সরে যাবেন৷ না হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে, যোগ করেন নানক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।