খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এখন প্রয়োজন নিরাপদ, ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করা। খাদ্য বিভাগ একটি স্পর্শকাতর বিভাগ। চালের দাম দুই টাকা বাড়লেও দোষ আবার দুই টাকা কমলেও দোষ।
মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ সার্কিট হাউসে খাদ্য বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং সুস্থ জাতি ও বিশ্বে একটি উন্নত দেশ গঠনের যে ভিশন, সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে সকলকে এক হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আমরা খাদ্য সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে যানবাহন বন্ধ থাকায় এবং কুয়াশার কারণে কয়েকদিন চালের দাম দু’এক টাকা বেড়েছিল। কিন্তু সরকার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়ার কারণে বর্তমানে ধান-চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চালসহ খাদ্যশষ্যের বাজার যাতে স্থায়ীভাবে স্থিতিশীল থাকে সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় জেলায় একটি করে এবং ঢাকায় পৃথক ৪টি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খাদ্য শস্য সংগ্রহ করতে কোয়ালিটি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের যাতে হয়রানির শিকরা হতে না হয়, সেদিকে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে হবে। খাদ্য বিভাগ একটি স্পর্শকাতর বিভাগ। চালের দাম দুই টাকা বাড়লেও দোষ আবার দুই টাকা কমলেও দোষ।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজামউদ্দিন জলিল জন, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওমর ফারুখ, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরিফুর রহমান অপু, রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান, নওগাঁর পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন, নওগাঁ জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন প্রমুখ।
এ সময় রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা, খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী, প্রয়াত আব্দুল জলিলের কবর জিয়ারত করে সান্তাহার, সাইলো ও সদর উপজেলার খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর এই প্রথম নওগাঁ আসেন তিনি। বগুড়া জেলার আদমদিঘী থেকে নওগাঁসহ তার সংসদীয় এলাকা পোরশা, নিয়ামতপুর ও সাপাহার উপজেলার হাজারও নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দিয়ে নওগাঁ নিয়ে আসেন।