মুক্তিযোদ্ধার জমি জবরদখলের অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের বিরুদ্ধে

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জমি জবরদখলের অভিযোগ এনেছেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী নিলুফার বেগম।

নিলুফার বেগম গতকাল ২৩ জানুয়ারি বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তার স্বামী প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আফছার ১৯৮২ সালে বসুরহাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডে ৩ ডিং সম্পত্তি খরিদ করেন। পরবর্তীতে বসুরহাট পৌরসভা থেকে অনুমতি নিয়ে সাইড ওয়াল নির্মাণ করেন। তিনি আরও জানান, “হঠাৎ আমাদের অনুপস্থিতিতে ২০১২ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুন গং জায়গা দখলের পায়তারা করে।

এরপর মামুন গং এর থেকে নামমাত্র মূল্যে চেয়ারম্যান বাদল তার স্ত্রী সেলিনা আক্তারের নামে ভুয়া রেজিস্ট্রি করে জায়গা দখলের পায়তারা করে। আমরা আদালতের শরণাপন্ন হলে আদালত জায়গাটিতে স্টে অর্ডার করে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল জায়গাটিতে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে অসহায় হয়ে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হই।”

এদিকে ঐ নারীর সংবাদ সম্মেলনের ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের বিরুদ্ধে মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ, মাদক ব্যবসা, ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী ও জলদস্যু বাহিনী বাহিনী পালন, ভূমি দখল সহ রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।