আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফর থেকে ফিরে আসার পরেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচি পালন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে ওয়ার্কিং কমিটির একটি সভা থেকে ঘোষণা দিয়েছিলাম, নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন বা বিদ্রোহ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। ৭৫ পরবর্তী কালের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। এতদিন আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি কোথায়, কে বিদ্রোহ করেছে এবং কে কে মাঝপথে থেমে গেছে। যারা থেকে গেছে তাদের বিষয়ে আমাদের আগের যে সিদ্ধান্ত রয়েছে সে অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু করবো।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রথম এবং প্রথম ধাপের মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে। আজ সোমবার দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র জমা হবে। এরপর ২৩ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আমরা আবার বসবো ৪র্থ ধাপের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। ৫ম ধাপের নির্বাচন বেশি নয় ৭টি উপজেলায় নির্বাচন হবে। সেটা সম্ভবত ১৮ জুন হবে। তাই, আমরা রোজার পড়ে ওই নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মনোনয়ন দিব।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ভরাডুবি হবে, এ কারণে তারা উপজেলা নির্বাচনে আসছে না। তবে বিএনপির তৃণমূলের অনেকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ভায়োলেট করে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছে।