নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আমরা তথাকথিত নির্বাচন দেখেছি এই নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে উপজেলা নির্বাচন কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তাই আমরা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না। এটা নির্বাচন হবে না, আবার আগের মতো প্রহশন হবে। এই নির্বাচনে যারা নৌকা মার্কায় নমিনেশন পাবে তারাই পাশ। এখানে কোন প্রতিযোগিতার সুযোগ নেই, কোন বিরোধী দল নেই। সিটি নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন আরেকটি নাটক, আরেকটি প্রহসন।’
মঙ্গলবার(১৯ ফেব্রয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘জনগণের মৌলিক অধিকার ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্য আজ সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আজকে আমাদের নেতা-কর্মীরা হতাশ নয়, হতভম্ব। দেশের গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি একেই সূত্রে গাঁথা। আজকে বেগম জিয়াকে কারাগারে নিঃশেষ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘২৯ তারিখে প্রমাণ হয়েছে, যেখানে খালেদা জিয়া নেই। সেখানে গণতন্ত্র নেই। তাই আমাদের প্রথমে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন।’
মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লে.কর্নেল (অবঃ) জয়নাল আবেদীন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক সাংসদ শাহ মো. আবু জাফর প্রমুখ।