বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে চাইলে এবং তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে চাইলে আন্দোলন ছাড়া কোনও বিকল্প কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেছেন, ‘কৃষক দলের এই কমিটিতে নতুন একটি গতিশীল সংগঠন তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের মুখ্য বিষয় হচ্ছে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং হাজার হাজার মামলার আসামি আমাদের নেতাকর্মী তাদের মুক্ত করা।’
রবিবার (১০ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে নবগঠিত জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘দেশে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার, গণবিরোধী সরকার, একদলীয় সরকার বিরাজ করছে। এই সরকারকে অপসারণ করাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র কাজ। কারণ এদেশে যা কিছু সুন্দর যা কিছু ভালো সব জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়ার হাত দিয়ে পেয়েছি আমরা। তার সবকিছু ধ্বংস করেছে এই অবৈধ সরকার। শিক্ষা-সংস্কৃতি কৃষি, শিল্প যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই দেখবেন ধ্বংস নিলা খেলা।’
কৃষক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সংগঠনটির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকে সমৃদ্ধ করার জন্য কৃষক দলকে সুসংগঠিত করবো। বিএনপিকে শক্তিশালী করবো। অসুস্থ বেগম জিয়াকে বাঁচাতে চাইলে, মুক্ত করতে চাইলে এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাইলে, প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আন্দোলন ছাড়া কোনও বিকল্প কিছু নেই।’
কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, নাজিম উদ্দিন মাস্টার জামাল উদ্দিন খান মিলন, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জিয়াউল হায়দার পলাশ, এস কে সাদি, অ্যাটভোকেট নাসির হায়দার, মাইনুল ইসলাম, মো. আলিম হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম হোসেন, মিয়া মো. আনোয়ার, বায়জিদ বোস্তামী, মোজাম্মেল হক মিন্টু, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আব্দুর রাজি, এম জাহাঙ্গীর আলম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।