মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় রেল দুর্ঘটনার তদন্তে কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনায় আহত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা এবং নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আজ বুধবার রেল দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল এই রেল বিভাগ। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেলপথের উন্নয়নে হাত দিয়েছে। তবে ভালো সেবা দিতে রেল বিভাগের সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা-সিলেট রেলপথে আখাউড়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত হয়েছে। আখাউড়া থেকে সিলেট পর্যন্ত ডুয়েল গেজে রূপান্তরিত করতে ইতিমধ্যেই ১৬ হাজার ১ শত ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটি অনুমোদন করেছে। দ্রুত তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে।
ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারও গাফিলতি কিংবা কাজে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনার নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা দেন। এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মন্ত্রী।
এ সময় সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম, ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. ইউনুছুর রহমান, সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. দেবপদ রায়, আফসার উদ্দিন, সহকারি পরিচালক প্রশাসন আবুল কালাম আজাদ, ডা. সুপান্ত ভট্টাচার্য্য, বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন সিলেট ওসমানী মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক, সহ সভাপতি ভ্রান্তি বালা দেবী, কোষাধ্যক্ষ নিলুফা ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সম্পাদক সুলেমান আহমত, প্রচার সম্পাদক নাজির আলম, সদস্য আব্দুলাহ আল মামুনসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের দেখতে যান।