দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কোনও রাজনীতিবিদ বা রাজনীতির চিন্তাধারা থেকে বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে না। বুধবার (৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জিয়া পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
কোনও রাজনীতিবিদ বা রাজনৈতিক চিন্তাধারা থেকে বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে না বলে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাকে জেলে রেখে, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, আইনের শাসন কেড়ে নিয়ে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তারা মনে করেছিল তারা অব্যাহতভাবে দেশ পরিচালনা করবে। কিন্তু দেশ চলছে না।’
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের (আওয়ামী লীগ) দায়িত্ব দেয় নাই। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে, জনগণকে বাইরে রেখে। তারপরেও আজকে যখন দেশ চলছে না, তখন গুজবের বাহানায়, বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র বাহানায় পার পাওয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু যে মহামারিতে পরিণত হয়েছে এটা কি বিতর্কের কোন বিষয়? নির্বাচন কমিশনের ফলাফল দেয়ার পরে বাংলাদেশে যেকোনও নির্বাচন হয় নাই, এটা নিয়ে কি কোন বিতর্ক আছে? বাংলাদেশে আজকে আইনের শাসন নেই, এটা নিয়ে কি কোন বিতর্ক আছে? একটি দেশের প্রধান বিচারপতিকে জোর করে চাকরি কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং জোর করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এটা নিয়ে কি কোন বিতর্ক আছে? বাংলাদেশের যে আজকে বাকস্বাধীনতা নাই এটা সমস্ত বিশ্ব জানে।’
দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হলে সংগ্রামে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে বিএনপির ২৬ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ঘরে থাকতে দিচ্ছে না। তাদের নিয়ে কি এদের কোন চিন্তা আছে। এই যে এই মিথ্যা মামলায় যারা মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাদের নিয়েই আমাদের চিন্তা। দেশনেত্রী মুক্তির সাথে বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। সুতরাং কোন দলের ব্যাপার না, বিএনপির ব্যাপার না আজকে সমস্ত জাতি ব্যাপার। তাই, দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আমাদেরকে সংগ্রাম করে যেতে হবে। সংগ্রামের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হয়।’
আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আব্দুল কুদ্দুস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।