ডেঙ্গু সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ড্যাব- বিএসএমএমইউ শাখার উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতনতার জন্য শাহবাগে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রুহুল কবির রিজভী।
লিফলেট বিতরণের সময় তিনি বলেন, সরকার ও সিটি করপোরেশন কার্যকর উদ্যোগ না নেয়ায় সারাদেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, দেশে সর্বত্র ক্ষতাসীনদের দুর্নীতি আর অনাচার। ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারি আকার ধারণ করলেও সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।
‘সিটি কর্পোরেশন কার্যকর ওষুধ আনার কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছে, সেদিকে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। তারা দুর্নীতি আর লুটপাটে ব্যস্ত।’
এডিস মশা নির্মূলে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, মশা নিধনে এখন যে ওষুধ ব্যবহার করছে তাতে মশাতো মরছেই না বরং আরও সতেজ হয়ে জ্যামেতিক হারে বংশবৃদ্ধি করছে। তাহলে কোটি-কোটি টাকা ব্যয় করে বিদেশ থেকে যে মশার ওষুধ আনা হলো সে টাকা কোথায় গেল, কার পকেটে গেল? এটা কিসের ওষুধ দেয়া হচ্ছে- এগুলো আজ জনগণের জিজ্ঞাসা। এসব সম্পূর্ণ ফাঁকিবাজি, জোচ্চুরি- এই জোচ্চুরি করেই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, সরকার দেশনেত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। আজ দেশে আইন নেই, সুবিচার নেই, সবকিছুই এক ব্যক্তির হাতের কব্জার মধ্যে। আজ ন্যায় বিচার নেই বলেই বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে; দেশে আইনের শাসন নেই বলেই বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। ন্যায় বিচার থাকলে এসব হতো না। দেশনেত্রীকে আটকে রেখেছে বলেই মধ্যরাতের নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে। দেশনেত্রী মুক্ত অবস্থায় থাকলে সকল অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতেন, প্রতিবাদ করতেন। এত বড় অন্যায় তিনি হতে দিতেন না।
‘দেশের এ সংকটময় অবস্থায় গণমানুষের দল বিএনপি ঘরে বসে থাকতে পারে না। তাই আমরা খ্যাতিমান চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে লিফলেট বিতরণ করে জনগণকে সচেতন করছি যেন তারা এ মরণব্যাধির হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারে।’
লিফলেট বিতরণের সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ্জামান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিব আহসান, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর (পূর্ব) সভাপতি খন্দকার এনাম ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।