শোককে শক্তিতে পরিণত করে শিল্পখাতে সাফল্যের ইতিহাস সৃষ্টির জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
শিল্পমন্ত্রী আজ ঢাকার দিলকুশায় অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের অডিটোরিয়ামে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই আহবান জানান। শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির হৃদস্পন্দন বুঝতেন, জানতেন। তিনি জানতেন এই অঞ্চলের জনগণের সমস্যা কোথায় এবং কিভাবে এসকল সমস্যা সমাধান করা যায়। জাতির পিতা বুঝতে পেরেছিলেন, যে কাঠামোতে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল তাতে এই অঞ্চলের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। মন্ত্রী বলেন, সাংবিধানিক কাঠামো ও নিয়মতান্ত্রিকতার মাঝে থেকে জাতির পিতা এদেশের জনগণের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালিত করেছিলেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫৬ সালে সরকারের শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন এতে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেন। ১৯৭০’র নির্বাচনে জাতির পিতা অংশ না নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হতেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে সরাসরি স্বাধীনতার ডাক দিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র বাঙালির প্রাণ হারাতো। শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে কোন বাঙালি কর্মকর্তা যুগ্মসচিবের ওপর যেতে পারতেন না। আজকে এ দেশের সরকারি কর্মকর্তারা মেধার স্বাক্ষর রেখে সচিব হতে পারছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যাতে একটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা তৈরি করতে জাতির পিতা বাকশাল গঠন করেন। বাকশাল গঠনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি আনতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। শিল্প প্রতিমন্ত্রী এসময় ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।
শিল্প সচিব বলেন, জাতির পিতার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার ফলে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর-সংস্থার কাজে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। আগামীতে আরও বড় বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।