আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুবসমাজ দেশের মূল্যবান সম্পদ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ। ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রধানতম শক্তি হচ্ছে এই যুবসমাজ। তাই যুবগোষ্ঠীকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।
আজ শনিবার ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক তিন সহস্রাধিক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, যুব উন্নয়নে সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে যুবকদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত যুবসমাজ।
আনিসুল হক বলেন, আজকের বিশ্ব জ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিশ্ব। এই নতুন বিশ্বে শিক্ষার ক্ষেত্রে যে-জাতি যত সাফল্য অর্জন করবে, সে জাতি জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নে ও মানবিক গুণাবলি বিকাশে ততটাই অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি লাভ করবে। সেজন্য বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার অধিকার ও মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুকৌশলী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে, এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে চলেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার পথে ধাবমান। এই উন্নয়নের সুফল থেকে কেউই যাতে বঞ্চিত না হয় সে-লক্ষ্যে সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সমন্বিত কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করে চলেছে। সরকারের বহুমাত্রিক উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্ভাবনাময় সম্পদ তরুণ-যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, মনন ও ধীশক্তির উৎপাদনশীল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, তোমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান। কেননা পরীক্ষার ফলাফল, মেধা ও প্রজ্ঞাসহ অনেক বিষয়াদি যাচাই-বাছাইয়ের পর বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এই বৃত্তি প্রদানের জন্য তোমাদেরকে মনোনীত করেছে। সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে। ভালভাবে লেখাপড়া করে তোমরা যদি ভবিষ্যতে নিজেদেরকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পার তবেই ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এ উদ্যোগ সার্থক হবে।
মন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থীর জীবন সংগ্রামের গল্প শুনে মনে হলো চরম দরিদ্রতাও তাদের আকাঙ্খা, ইচ্ছাশক্তি, প্রতিভা এমনকি দৃষ্টিহীনতাকেও পরাস্ত করতে পারেনি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক বৃত্তি দিয়ে তাদের মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিলো, তাদের পিতা-মাতার উপর চাপ কমিয়ে দিলো।
ডাচ-বাংলা ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বক্তৃতা করেন। এ ছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।