কোয়ারেনটাইনে ৪ জন, আইসোলেশনে ৮ জন

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের চারজনকে কোয়ারেনটাইনে এবং আটজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য সতর্কতা বিষয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, ‘দেশে যে তিন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তারা একটি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। ওই তিনজন ছাড়া আরও আটজন আইসোলেশনে আছেন।’

ডা. ফ্লোরা বলেন, ‌‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আরও ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাইনি। সব মিলিয়ে আমরা ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।’

এই মুহূর্তে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মোট চারজন কোয়ারেনটাইনে আছেন বলেও জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক।

ইতালির সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, ইতালিতে এই মুহূর্তে নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৯৮৫ জন। যার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে ৪৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭২৪ জন। এ ছাড়া বাড়িতে রেখে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৯৩৬ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪ হাজার ৩১৬ জন। এদের মধ্যে ৭৩৩ জন আইসিইউতে চিকিৎসা পাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সব নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যদি গত কয়েক দিনে বিদেশ থেকে এসে থাকেন তাহলে ১৪ দিন বাসায় থাকুন। পরিবারে যেহেতু আপনার পরিবারের সদস্যরা রয়েছে সেজন্য একটি ঘরে থাকুন। এটাকে আমরা সেলফ কোয়ারেনটাইন বলছি। এখন দেশের পরিস্থিতিতে সেলফ কোয়ারেনটাইন হচ্ছে সবচেয়ে ফিজিবল পদ্ধতি কোয়ারেনটাইন করার জন্য। সুতরাং এখানে আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।’

প্রতিবেশীদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক বলেন, ‘বিদেশ ফেরত কেউ যদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তাহলে আমরা যারা বন্ধু-বান্ধব আছি আমরা যেন তাদের একটু স্মরণ করিয়ে দেই যে এই মুহূর্তে আপনার বাড়িতে থাকাটা আপনার জন্য, পরিবার-পরিজনের জন্য, বন্ধুদের জন্য এবং বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।’

‘আমি আপনাদের মাধ্যমে যারা বিদেশ থেকে এসেছে সবাইকে অনুরোধ করতে চাই অত্যাবশকীয় না হলে বাইরে যাবেন না। যদি খুব প্রয়োজন হয় তাহলে মাস্ক ব্যবহার করে বাইরে যাবেন। আপনাদের মধ্যে যদি কোনো লক্ষণ, উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে আপনারা বাড়ি থেকে না বেরিয়ে সরাসরি আমাদের আইইডিসিআর’র হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন’ যোগ করেন ডা. ফ্লোরা।

এর আগে গত ৮ মার্চ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। পরে ৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী নেই।