দেশের ৫২ জেলায় ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪ জনে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩০৬ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৪ জনে।

এসব রোগী দেশের আট বিভাগের। আবার এই আট বিভাগের ৫২টি জেলার। অর্থাৎ ৫২ জেলায় এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।

দেশে করোনার সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। তৃতীয় ময়মনসিংহ বিভাগ। এরপরে রংপুর ও বরিশাল বিভাগের অবস্থান। আট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম সংক্রমণ ছড়িয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপরে সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের অবস্থান।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) বলছে, মোট রোগীর চার ভাগের তিন ভাগই রয়েছেন ঢাকা বিভাগে।

ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা জেলা। করেনাায় এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায়; ২৮৯ জন। গাজীপুরে ১১৭ জন। নরসিংদীতে ৬৫ জন। কিশোরগঞ্জে ৩৩ জন। মুন্সিগঞ্জে ২৭ জন। মাদারীপুরে ২৩ জন। এছাড়া গোপালগঞ্জে ১৭ জন করোনা রোগী রয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের নয়টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৭ জনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এরপরে লক্ষ্মীপুরে ১৮ জনের করোনা পজিটিভ। কুমিল্লায় ১৫ জনের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নয়জন, চাঁদপুরে আটজনের করোনা পাওয়া গেছে।

ময়মনসিংহ বিভাগের ৪টি জেলার মধ্যে এখন পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলায় ১৮ জন, জামালপুরে ১২ জন, শেরপুরে পাঁচজন ও নেত্রকোনায় সাতজনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

বরিশাল বিভাগের পাঁচটি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এরমধ্যে বরিশাল জেলায় সবচেয়ে বেশি; ১৭ জন। এছাড়া বরগুনায় পাঁচজনের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাইবান্ধায়; ১২ জন। এছাড়া দিনাজপুরে আটজন ও নীলফামারীতে ছয়জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

সিলেট বিভাগের চার জেলায়ই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট সাতজন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আর খুলনা বিভাগের পাঁচ জেলার মধ্যে যশোর, বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গায় মোট ছয়জনের মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

রাজশাহী বিভাগের চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজশাহী জেলায়; চারজন। জয়পুরহাট, পাবনা ও বগুড়ায় মোট আটজন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা ২১ হাজার ৯১। মৃত ৯ জনের মধ্যে ৬ জন ঢাকার, ২ জন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন মোট ৬৬ জন।