জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে করোনার দুঃসময়ে বিএনপি জনগণকে উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, যারা সব সময় বাংলাদেশের জনগণকে পুঁজি করে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, কিছু কিছু জায়গায় তারা উসকানি দিচ্ছে। এদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।’
শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কর্মহীনদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। এদিন নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দুঃসময়ে বিএনপি ত্রাণ বিতরণ করছেনা, জনগণের খোঁজও নিচ্ছেনা বরঞ্চ জনগণকে উসকানি দিচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন উসকানিদাতার খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে। করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী যে সমন্ব করেছেন- পৃথিবীতে কেউ সেটা পারেনি। সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনার কারণে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আমাদের দেশে করোনা সংক্রমণ কম বলেও জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কৌশলের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ, আইএমএফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সবাই। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সার্কভূক্ত দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের বন্ধন যখন আঞ্চলিক বন্ধনে রূপ নিচ্ছে, তখন দেশের ভেতরে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল টাস্কফোর্সের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা অত্যন্ত ভয়ানক। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো দেশকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে এসেছেন। যেটা এর আগে কেউ পারে নাই। তিনি বলেন, ডাক্তার, পুলিশ, মাঠ প্রশাসন সবাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও আওয়ামী লীগের নেতারাও কাজ করছেন।
খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই সারাদেশের জনগণের খোঁজ নিচ্ছেন। কেউ না খেয়ে থাকবেনা, না খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়নি। আপনাদের পরিচিত কারো খাবারের কষ্ট হলে আমাদের জানাবেন।
এদিন নৌ প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনী এলাকার ৯টি স্পটে ৫০০০ পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। এর পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।