জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই দিনই বিএসএমএমইউ থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন অসুস্থ বেগম জিয়া।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেইন্টাইনে ছিলেন। ওই ১৪দিন শেষ হওয়ার পর এখনো তিনি কোয়ারেইন্টানেই আছেন। এর মধ্যেই সোমবার মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবার বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্ট নাগরিক ও সবস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন না তিনি। তবে দুর্নীতির দায়ে দুই বছর সাজা ভোগের পর এবার ‘ফিরোজা’য় ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া। বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
কারাবন্দি অবস্থায় কারাগারে গত ৪ ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে। ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হয়ে নাজিম উদ্দিন রোড়ের পরিত্যক্ত পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে দুটি ঈদ এবং হাসপাতালে দুটি ঈদ পার করেন বেগম জিয়া। এরআগে ১/১১ সরকারের সময় সংসদ ভবন এলাকায় সাব জেলে বন্দি থাকাকালে খালেদা জিয়া ২টি ঈদ কাটিয়েছেন।
তবে ঈদের দিন ‘ফিরোজা’য় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বেগম জিয়াকে ঈদ শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন কি না- তা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যকন্ত জানা যায়নি। কিন্তু ঈদের দিন খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তার জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে যাবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে বিএনপি যেমন নিজেদের সব কাজই করোনাভাইরাস কেন্দ্রিক করেছে তেমনি দলটির নেতারাও এবার ঈদ উদযাপনের কোনো প্রস্তুতি নেননি। আর বিএনপির নেতারা প্রতিবারের ন্যায় এবারও যেমন ঢাকায় ঈদ করছেন তেমনি ঢাকার বাইয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজ গ্রামেও ঈদ উদযাপনের কথা ভাবছেন।
জানা গেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীরসহ দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবার ঈদ উদযাপন ঢাকাতেই করবেন। এরমধ্যে শুধু বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্রগ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ঈদে তিনি ঢাকাতেই থাকবেন। জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিএনপি মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এবার ঈদ উদযাপন ঢাকাতেই করবেন। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্রগ্রামে ঈদ উদযাপন করবেন।
অন্যদিকে ঈদের দিন সকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বিষয়ে শায়রুল কবির খান বলেন, ঈদের দিন বেলা ১১টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপির মহাসচিব।