দিন যত যাচ্ছে করোনা মহামারীতে খেটে খাওয়া নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। সাথে যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান এর ভোগান্তি। দেশের এই সংকটময় অবস্থায় “বাংলাদেশ হিউম্যান হেল্পিং সোসাইটি” নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ “১০টাকার উপহার, ঈদ হোক সবার ” প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।
যেই প্রজেক্ট এর মাধ্যমে তারা মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ঈদ উপহার হিসেবে চাল , ডাল, আলু , তেল, লবণ, গুড়ো চাল , সেমাই ,দুধ , চিনি, সাবান এর প্যাকেজ বিতরণ করেন। তাদের ১০ টাকা নেয়ার উদ্দেশ্য ছিলো যাতে কেউ না ভাবে তারা ফ্রি তে নিচ্ছে। যাদের ১০ টাকা দেয়ার সামর্থ্য ছিলো না তারা বিনামূল্যে পেয়েছে, তবে এ সংখ্যাই বেশি ছিলো।প্রজেক্টটি আপাতত ভোলা জেলা ও কুড়িগ্রাম জেলায় বাস্তবায়িত হলেও সাড়া বাংলাদেশে এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন এর পরিকল্পনা রয়েছে উক্ত সংগঠনের। করোনা মহামারীর শুরু থেকে এবং ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে কেন্দ্র করে তারা ৪১০ টি পরিবারকে সহযোগিতা করে আসছে।
সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কার্যনির্বাহী তাদের প্রজেক্ট সম্পর্কে জানিয়েছেন,দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যাদের কথা ভেবে এই প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তাদের কাছে ঈদ আনন্দ কেবল বেঁচে থাকার লড়াই,দুই বেলা খাওয়ার সংগ্রাম ।তিনি বলেন,”সর্বদা মানব সেবায় নিয়োজিত” এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ২০১৩ সালের ১লা মে “বাংলাদেশ হিউম্যান হেল্পিং সোসাইটি” এর যাত্রা শুরু করে।বর্তমানে সাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।বিগত বছর গুলোতে এবং বর্তমানে তারা অসহায় রোগীদের সাহায্য,গরীব ছেলে-মেয়েদের ভর্তি,শিক্ষা উপকরণ বিতরণ,প্রতি ঈদে গরীবদের মাঝে পোশাক বিতরণ কর্মসূচি,স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি,স্বেচ্ছায় রক্তদান সহ আরো বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময়ে অসহায়, গরীব মানুষদের সেবা করে আসছে।ভবিষ্যতে তারা আরো ভিন্নধর্মী প্রজেক্টের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন যারা সবসময় পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করে আসছেন এবং সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভবিষ্যতে এভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য।