করোনা ঠেকাতে ‘সর্বোচ্চ প্রয়াস’ চালাচ্ছে সরকার: কাদের

সারা দেশে মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ এবং চিকিৎসায় সরকার সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৫ জুলাই) বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয়ে  ঈদ সার্ভিস উপলক্ষে বিআরটিসি’র গৃহিত পদক্ষেপ ও দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্যোগ ও সংকটের সাহসী নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করছেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে স্থাপিত হয়েছে হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। চিকিৎসা সেবা জণগণের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন জেলায় স্থাপন করেছে মেডিকেল কলেজ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপন করা হচ্ছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং জনমানুষের প্রতি তাঁর যে প্রগাঢ় ভালবাসা তাতে দেশের মানুষ তাঁর ওপর আস্থা রাখছে। মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি দেশের সাথে মিলিয়েছেন তাঁর নিজের জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংকটে তিনি আস্থার  প্রতীক।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আস্থার সাথে মনেবল দৃঢ় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। তাহলেই করোনার এ অমানিশা কেটে আবারও আমরা চিরচেনা সতেজ পৃথিবীতে, পরিচিত কোলাহলে ফিরতে পারবো।’

ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যায়, ঘটে মূল্যবান প্রাণহানি তাই ঈদ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী যাত্রায় সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানোয় পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অনুরোধ জানান সড়কমন্ত্রী।

ঈদের পর কোনোরূপ শৈথিল্য না দেখিয়ে কড়া নজরদারির জন্য জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিসি’র সমস্যা শ্রমিক কর্মচারিতে নয়, ডিপো কেন্দ্রিক যে অনিয়ম তা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়।’ অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।

বিআরটিসিকে অনিয়মের ধারা থেকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে হবে।’