ঈদুল আজহা উদযাপনকে ঘিরে গত ২৫ জুলাই বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাওয়া যাবে। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদুল আজহায় জনসমাগম যথাসম্ভব বাতিল, সীমিত ও নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ৬০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, যারা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সারসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। মাংস বিতরণে দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বিনোদন কেন্দ্র, শপিং মলসহ জনসমাগম হয় এমন স্থান বন্ধ, জনসমাগম সীমিত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মানুষ থেকে জীবজন্তুতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে করোনা সংক্রমিত জীবজন্তু মানুষকে সংক্রমিত করে কী না তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপরও এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। সামাজিক এবং ধর্মীয় জমায়েত নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে ‘খুব গুরুত্বের সঙ্গে’ বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। যদি কেউ এ ধরনের জমায়েতের আয়োজন করে থাকেন, তবে তাদের ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নামাজে যারা যাবেন, তাদের সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মানার পাশাপাশি ঈদগাহে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। খোলামেলা স্থানে নামাজ আয়োজন করতে বলা হয়েছে, ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের সুবিধা কম থাকায় ঝুঁকি বেশি হবে। বড় জমায়েত এড়িয়ে যত সংক্ষিপ্ত পরিসরে পারা যায় ধর্মীয় আয়োজন শেষ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কোনো আয়োজনে যদি অসুস্থ ব্যক্তি এসে পড়েন, তাকে যেন শনাক্তের পর আলাদা করা যায় তার ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে গাইডলাইনে। ওযুখানায় অ্যালকোহল-ভিত্তিক (কমপক্ষে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল থাকতে হবে) হাত পরিষ্কারক রাখতে হবে। মসজিদ কিংবা ঈদগাহে যে সব স্থানে মানুষের বেশি হাত পড়ে, সেখানে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কোরবানি দেয়ার সময় এবং পরে মাংস বিতরণের ক্ষেত্রে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। কোরবানি দেয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বাড়িতে এই কাজ না করা ভালো। আলাদা জায়গায় করা তুলনামূলক বেশি নিরাপদ হবে।