বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ: মোস্তাফা জব্বার

mustafa jabbar

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবলমাত্র হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানুষ এবং রাজনীতিবিদও।তিনি বলেন, শেখ মুজিব ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত দুটি রাষ্ট্র গঠনের বিপরীতে একটি ভাষাভিত্তিক আধুনিক জাতিরাষ্ট্র গঠনের দূরদর্শী স্বপ্ন দেখেন। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জনগণকে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন।

শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর দে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই ভূ-খণ্ডের গোটা জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্ব অনুসরণ করেছে। জাতির পিতা প্রথমেই একটি জাতিসত্ত্বা গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে অসীম দূরদর্শিতার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লড়াইকে এগিয়ে নিয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রায় বিনা হাতিয়ারে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। এদেশের প্রতিটি মা নিজের সন্তানের মত করে আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকুক এ জন্য হাজার হাজার মা-বাবা দোয়া করেছেন। এটা জাতিকে বঙ্গবন্ধুর সুসংগঠিত করার ফসল। বঙ্গবন্ধু সমস্ত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে লড়াই করেছেন।

যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে জব্বার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ, আইটিইউ, ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন এবং বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসহ নানা কর্মকৌশল নিয়ে দেশ পুনর্গঠনের যাত্রা তিনি শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে ঘুরে দাঁড়াতো। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে সেই বীজ আজ মহীরূহ রূপ নিচ্ছে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা কর্মসূচির রূপরেখা।

ড. সৌমিত্র শেখর দে মূল প্রবন্ধে বলেন, বঙ্গবন্ধু তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন নেতা। ৬৬‘র ছয় দফা থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, বৃহৎ দলগুলোর সমর্থন ছাড়াই বঙ্গবন্ধু গোটা বাঙালিকে একত্রিত করেছেন। এই ছয় দফাই আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি। বাহাত্তরের সংবিধানে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতির সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরের সভাপতিত্বে এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।