ইসহাক সরকারের মুক্তি বাধাগ্রস্ত হলে রাজপথের সমস্ত কনক্রিট উড়িয়ে ব্যারিকেড দেয়া হবে : রিজভী

ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেটর রুহুল কবির রিজভী। তিনি সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘ইসহাক সরকারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এই মুক্তি যদি বাধাগ্রস্ত হয় আর ফুটপাত নয়, এবার রাজপথের সমস্ত কনক্রিট উড়িয়ে আমরা এবার রাজপথে এমন ব্যারিকেড তৈরি করব, আপনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার আন্দোলন আয়োজিত ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘ইসহাক সরকার কী অপরাধ করেছে যে ওর নামে ৩০০টি মামলা। সে তো ফরিদপুরে ছাত্রলীগ নেতার মত টাকা পাচার করেনি। সে তো খালেদ শামীম সম্রাটের মত ক্যাসিনো ব্যবসা করেনি। তারপরেও কেন সে দুই বছরের অধিককাল কারাগারে। যারা দীর্ঘ ১০ বছর প্রচণ্ড প্রতাপে ক্যাসিনো ব্যবসা করে আসছে এরা কারা? এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী।’

গতকাল ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কী অপরাধ করেছে ছাত্রদল নেতা? তার অপরাধ হচ্ছে দেশের এই করোনাকালীন সময়ে বন্যা দুর্যোগের সময় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন অসহায়দের দ্বারে দ্বারে।

ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতার ২০০ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা- এটা তো ঢাকতে হবে। যারা ফরিদপুরের মতো শহরে মারসিটিস গাড়ি চালায় এগুলো পত্র পত্রিকায় এসেছে- এগুলো তো ঢাকতে হবে। জেকেজির সাবরিনা রিজেন্টের সাহেদ, সম্রাট, খালেদের তো ঢাকতে হবে। এসব ঘটনা ঢাকার জন্যই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি পুজি ২১ আগস্ট এবং ১৫ আগস্ট- দুটোকে একসাথে মেলাতে চাচ্ছেন। এর কারণ হচ্ছে এছাড়া সরকারের হাতে কোনো পুজি নেই। যে ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন এই যে টেলিভিশন এই যে পত্রপত্রিকায এটি কার অবদান এটি জিয়াউর রহমানের অবদান।

তাই প্রধানমন্ত্রীর এত হিংসা। যিনি খন্দকার মোশতাককে রক্তাক্ত লাশ ডিঙ্গিয়ে শপথ পড়ালেন, তিনি আজকে আপনার অ্যাডভাইজার তাকে তো আপনি খলনায়ক বলেন না। আপনার তাবেদারী করলে তার সব দোষ মাফ। সমস্ত দোষ কার জিয়াউর রহমানের। কারণ তিনি দেশে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন, খবরের কাগজের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন আর বেগম খালেদা জিয়ার কারণ তিনি আবার দেশে গণতন্ত্র দিয়েছেন। আজও তিনি লড়াই করছেন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম সহ- ছাত্রদলের কয়েক শত নেতাকর্মী।