সরকার করোনা আক্রান্ত রোগীদের ‘ভুল’ পরিসংখ্যান তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোহার-নবাবগঞ্জে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনায় কতো লোক মারা যাচ্ছে, অথচ সরকার বলে মাত্র কয়েকজনের কথা। গতকালের সংবাদে বেরিয়েছে যে, করোনায় মোট কতো জন আক্রান্ত হয়েছে এ সংক্রান্ত সরকার যেটা ডাটা তৈরি করছে তাতে প্রায় ৮২ হাজার লোকের নাম বাদ পড়েছে। তার মানে সঠিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সরকার। এই যে হঠাৎ একটা বৈশ্বিক মহামারির ধাক্কা, এ জন্য যে ওষুধ, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বিধি তৈরি করা, এর কোনোটাই করেনি সরকার। মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের বারান্দায় মারা যাচ্ছে, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে মারা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। কারণ এ সরকারেরতো ভোটের দরকার নাই। নির্বাচনের দরকার নাই। তারা জনগণকে কোনো পাত্তা দেয় না।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ওরা (সরকার) ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য, চিরস্থায়ী করার জন্য কয়েকটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। বিচারবর্হিভুত হত্যা এর মধ্যে একটি। আপনার ছেলে অন্য দল করে, ভিন্নমত পোষণ করে? রাতের অন্ধকারে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। দুই-তিনদিন পর তার মরদেহ মিলবে ধান ক্ষেতে। নতুবা আর কোনো দিন তার খোঁজ পাওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে দেখুন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার মেজর সিনহা সাহেবকে মেরে ফেলল থানার এক ওসি। এ ঘটনার কোনো বিচার নাই, আইন নাই। কিছুদিন আগে একজন ইউএনও’র ওপর হামলা চালানো হলো। তার অবস্থা এখন গুরুতর। চারিদিকে খুন, গুম, হত্যা- এটাই হচ্ছে এই সরকারের কর্মসূচি।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালেও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোহার-নবাবগঞ্জে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। এরপর শোল্লা ও ইকোরিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন রিজভী।
জেলা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।