গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে প্রসারিত হচ্ছে ধর্ষণ: গয়েশ্বর

‘গণতন্ত্র যেখানে অনুপস্থিতি ধর্ষণ সেখানে প্রসার লাভ করছে, এবং বিকশিত হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বলে মন্তব্য করেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ‘জনগণ এখন ডাইরেক্ট অ্যাকশন দেখতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন ।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারী ওপর নির্যাতনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দুপুরে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে জনগণ আর মানববন্ধন দেখতে চায় না, দেখতে চায় প্রাণবন্ধন। আজকে জনগণ মুখে স্লোগান শুনতে চায় না, অ্যাকশন দেখতে চায়। আজকে আমাদেরকে এই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ডাইরেক্ট অ্যাকশনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণ দেখতে চায় আমরা কী করছি। আমাদের কথা বলার চেয়ে দায়িত্ব হলো কিছু করা। মানুষ এখন মুক্তি চায়, মানুষ এখন শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে যদি পদত্যাগ করাতে পারেন তাহলে প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটবে না। প্রতি ঘটনাই আমাদের ক্ষুব্ধ হতে হবে না। আমাদেরকে রোদের মধ্যে কষ্ট স্বীকার করে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে আসতে হবে না।

এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে দেশে ত্রাসের রাজত্ব বিরাজ করছে। ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের নাগরিকরা কমিটি করেছিলেন, কমিটি ফর পাবলিক সেফটি। এখন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ যারা যে যেখানে আছেন তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহারা দিতে হবে পাড়া-মহল্লায়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনামূলক নাটক নির্মাণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।