ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য মিশিগানে জয়ের ফলে সব মিলিয়ে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৬৪। মার্কিন মসনদে বসার আশা পুরণ হবে আরেক রাজ্য নেভাদা জয় করলে। ছয়টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে ‘ম্যাজিক ফিগার’ অর্জনের আগে জয় স্পষ্ট বলে মন্তব্য করলেন বাইডেন।
বুধবার স্থানীয় সময় রাতে ডেলাওয়ারের উইলমিনটনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘নিজেকে জয়ী বলতে আসিনি। কিন্তু জয় এখন স্পষ্ট। আমরা লাল-নীল বিভেদ মুছে দিতে চাই।’
একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের মতো দেশ শাসন করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘জেতার পর কোনো লাল রাজ্য এবং নীল রাজ্য থাকবে না, কেবল ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা থাকবে। আমাকে যারা ভোট দেয়নি কিংবা ভোট দিয়েছে সকলের জন্যই জোরালোভাবে কাজ করবো।‘
উইলমিনটনে বাইডেনের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যরিস। সম্পূর্ণ ভোট গণনার আগে জয় দাবি করতে চান না বাইডেন। তিনি বলেন, ‘রাতভর গণনার পর এখন এটা স্পষ্ট। আমি এখানে ঘোষণা দেবো না যে আমরা জিতে গেছি। কিন্তু বলতে চাই গণনা শেষ হলে আমাদের বিশ্বাস আমরাই জিতব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন ডেমোক্র্যাট পার্টির এ প্রার্থী। গণনা শেষ হওয়ার আগেই যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে গড়া বারাক ওবামার রেকর্ড ভেঙে ইতোমধ্যে ৭ কোটির বেশি ভোট পেয়েছেন বাইডেন।
এ ব্যাপারে বাইডেন বলেন, মার্কিন নাগরিকদের রেকর্ড পরিমাণে ভোট দিয়েছেন। আমার রানিংমেট যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে যেকোনো পদের জন্য সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ার রেকর্ড গড়ার পথে রয়েছেন। ফলাফল চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর প্রচারকালের কঠোরতাকে পেছনে ফেলে আমাদের আবার পরস্পরকে আবার দেখার, শোনার এবং পারস্পারিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং যত্ন করার সময় আসবে। আমেরিকানদের পরস্পরকে শত্রু ভাবা বন্ধ হবে।
এদিকে ভোট গণনা বন্ধের দাবি জানিয়ে মামলা করেছে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন শিবির। পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে এ মামলা করা হয়। আগে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে ভোট পুনঃগণনার দাবি তুলেছিল ট্রাম্পের নির্বাচন কর্মীরা। কিন্তু সেখানে মামলা করা হয়নি। ভোট গণনার বিষয়টি সামনে এনে বাইডেন বলেন, ‘প্রতিটি ভোট অবশ্যই গণনা করতে হবে। আমরা জনগণ নীরব থাকবো না। আমেরিকার জনগণের বিজয় হবে।’