বিএনপিতে আস্থা নেই, জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই তারা (বিএনপি) কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ আনছে বলে দাবি করে ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ হাবিব হাসান।
বুধবার সকালে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার ৪৭নং ওয়ার্ডের ৮নং সেক্টরের রেলগেট সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ থেকে গণসংযোগ শুরু করেন হাবিব হাসান।
এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। আমরা সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে প্রয়াত সংসদ সদস্য সাহারা খাতুনের সব অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা করব।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের মানুষ দু’বেলা খেতে পারত না। বিদ্যুতের জন্য মানুষ হাহাকার করেছে, সারের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এখন আর ভোটকেন্দ্র দখল হয় না। দেশে এখন আইনের শাসন চালু হয়েছে। অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক রানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা প্রলয় সমদ্দার বাপ্পি, আবদুল আউয়াল শেখ, সাবেক ছাত্র নেতা প্রদীপ কুমার গুহ, দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু হানিফ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান মিঠু এবং ৪৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব হাসানের পক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, ছাত্রলীগরে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দেব নন্দী, আওয়ামী লীগ নেতা প্রলয় সমদ্দার বাপ্পি। সভাপতিত্ব করেন ৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ প্রমুখ।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ১২ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। ইভিএম হচ্ছে একটি চমৎকার ও অত্যাধুনিক ভোট প্রদান ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, এই উপ-নির্বাচন যেন সবার অংশগ্রহণমূলক, অবাধ এবং নিরপেক্ষ হয় তার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আওয়ামী লীগ সরকার ভোট কারচুপির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগের মূল চালিকাশক্তি।