দেশের এই কান্তিকালে, এই দুর্যোগের মুহূর্তে ডিএমপির একটি নোটিশ মর্মাহত করেছে বলে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দেয়া নির্দেশনা পুনর্বিবেচনার আহ্বান ও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে সম্প্রতি ঢাকায় মহাখালীর সাততলা বস্তি, মোহম্মদপুরে জহুরী মহল্লায় বস্তি ও মিরপুরের কালশীর বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বস্তিবাসীদের মাঝে কম্বল ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এতে ডাকসুর সবেক ভিপি নুরুল হক নূর ও ঐক্যবদ্ধ ছাত্র পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদউল্লাহ মধুর নিকট এক হাজার কম্বল ও এক হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। হস্তান্তর শেষে এসব ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের এই কান্তিকালে, এই দুর্যোগের মুহূর্তে ডিএমপির একটি নোটিশ মর্মাহত করেছে। মানুষ চলাফেরা করতে পারবে না, সভা সমাবেশ করার জন্য অবশ্যই পুলিশকে অবহিত করা হবে। কিন্তু অনুমতি নিতে হলে আপনারা তো অনুমতি দেন না, এটা সবার জানা কথা। কাউকে সংবর্ধনা দিতে দিবেন না, বক্তব্য রাখতে দিবেন না, সমালোচনা করতে দিবেন না, এটা ভালো কাজ না। তাই আমি ডিএমপিকে অনুরোধ করছি এই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার জন্য। তিনি বলেন, সভা সমাবেশের জন্য আপনাদেরকে জানানো হবে যাতে আপনারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন।
যতগুলো বিশৃংখলা হয়েছে তার জন্য সরকারই দায়ী। আজকে ভাষ্কর্য- মূর্তির ঝামেলা তৈরি করতে সরকার এক দিকে মদত দিয়েছে, অন্যদিকে যখন দেখছে সামাল দেয়া যাচ্ছে না তখন এই অবস্থা।
সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না। মিছিল মিটিংয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে যারা করছেন তাদের প্রতি আবেদন কোনো ভাবেই যেনো গাড়ি-চলাফেরা বিঘ্ন না হয়। আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা। ক্ষতিগ্রস্তদের সামান্য সাহায্য। এদেরকে সামান্য সাহায্য, সরকারের কাছেও আবেদন করছি, এইসব জায়গা সাহায্য করেন। আগুন দিয়েছে কারা? আপনারা তা প্রকাশ করেননি।