কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননায় জড়িতদের শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে জাতির জনকের ভাস্কর্য ভংচুরের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চি করা হবে এবং তারা ক্ষমার অযোগ্য।
আজ রোববার (০৬ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
ইতিহাসের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশব্যাপী ধর্মীয় বিভেদ তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাস্কর্যের অবমাননা দেশের চেতনার মর্মমূলে আঘাত হানা।
তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিকভাবেই বিধিবদ্ধ, তাই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা প্রকারান্তরে সংবিধানের অবমাননা।
এই অপকর্মে যারাই জড়িত ভিডিও ফুটেজ দেখে সেই অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে। তাদের শাস্তি পেতেই হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ গায়ে পড়ে আক্রমণ করে না, তবে আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এক বিন্দুও পিছপা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক হয়েছে, এবার থামুন। বঙ্গবন্ধু মানে এদেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানে দেশ এবং সংবিধান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা মানে দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রান্ত করা। পবিত্র সংবিধান ও দেশের আইন পরিপন্থী কোন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য, মন্তব্য ও আচরণ বরদাস্ত করা হবে না।
মধুর ক্যান্টিনে অর্ধ শতকের স্মৃতি মধুদার ভাস্কর্যের আংশিক ভাঙচুরের নিন্দা জানিয়ে কাদের বলেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দেবেন না। এখনো দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, আবারও বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না।
এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা দুই মেরুতে অবস্থান করায় সাময়িকভাবে তাদেরকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তবে তারা এখনও দলের নেতা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এখনও এতটাই বিপদে পড়েনি যে, যখন-তখন যাকে তাকে এনে দল ভারি করতে হবে।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলীসহ দলের নেতারা।