মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে দেশ বিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, মানুষের নিয়মতান্ত্রিক দাবিকে কেন্দ্র করে কুচক্রী মহলে উগ্রতাকে সরকার আরও উৎসাহ দিচ্ছে।
জাতির জনকের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার পরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সংগঠনটির আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম তার লিখিত বক্তব্যে সরকারের ভূমিকারও সমালোচনা করেন।
এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাদের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, হেফাজত ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
পুরানা পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে আমরা দেশ বিরোধী অপশক্তি চক্রান্ত আকারে দেখছি।’
ভাস্কর্য বিষয়ে সরকারের অবস্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হতাশ জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের নিয়মতান্ত্রিক একটি দাবিকে কেন্দ্র করে যখন কুচক্রী মহল দেশে ওলামাদের বিরুদ্ধে উগ্রতা ছড়াচ্ছে তখন তারা (সরকার) তা দমন না করে আরও উৎসাহ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন মনে করে, তাদের এই ভূমিকা বরং বঙ্গবন্ধুকে ছোট করছে। তার সম্মানকে মানুষের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রেজাউল বলেন, ‘দেশের ওলামা সমাজকে এবং সম্মানিত ধর্মীয় ব্যক্তিদেরকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে কটূক্তি করে, ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করে, অপমান অপদস্ত করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়, মারামারি ও মল্লযুদ্ধের আহ্বান জানায়, তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।’