আওয়ামী লীগের কারণেই এ সমস্ত অপশক্তি আজ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণহন্ত্রের টুটি চেপে ধরায় উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছে। আর এরজন্য ক্ষমতাসীনরাই দায়ি।
বধুবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সরকারকে সচেতন করছি, আওয়ামী লীগকে সর্তক করছি এবং আর্ন্তজাতিকভাবে সর্তক করছি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীন স্বাধীনতা শুধুমাত্র উগ্রবাদীদের। যারা মৌলবাদ প্রচার করে দেশে জঙ্গিবাদ ছড়াতে সহযোগিতা করে।’
কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘জননেত্রী পরিষদের এক নেতার দায়িত্ব হলো আমাদের নামে মামলা দেওয়া। আমার বিরুদ্ধেও এ ধরনের ১৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা জনগণের সম্মুখীন হতে পারে না। গণতন্ত্রকে তারা ভয় পায়। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পায়, তাই তারা বিরোধী দলীয় নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ সেই গ্রাম্য মোড়লের মতো আর্বিভাব হয়েছে। তাদের কাজই হচ্ছে জনগণকে অস্থির করে রাখা।’
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘দেশে নয় বছর শাসন করেছে এরশাদ। আর ১২ বছর শাসন করেছে আইয়ুব খান। জনগণের সম্পৃক্ততায় এ ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। সেই সময় ঘনিয়ে এসেছে। বেশিদিন আর নয়, যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত হবে দেশ।’