গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বহুল আলোচিত ৪৯ টি কম্পিউটার চুরির ঘটনার মুলহোতা পলাশ শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে গোপালগঞ্জ পুলিশ।
সোমবার সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মাদ সানোয়ার হোসেন তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদ সম্মলন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রোববার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারিপুরের টেকেরহাট থেকে চন্দ্রা পরিবহন নামেন একটি যাত্রিবাহি বাস থেকে গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পলাশ শরিফকে গ্রেপ্তার করে। পলাশ শরীফ গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত. শামসু শরীফের ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাচ্চু শরীফের ছোট ভাই।
গোপালগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, পলাশ শরীফের নামে গোপালগঞ্জ সদর থানায় দুটি অপহরন ও মাদারীপুর থানায় বিষেশ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা রয়েছে । রোববার অপর একটি মামলায় মাদাররীপুরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার ঢাকা থেকে মাদারীপুর আসার খবর পাই । আমরা তার গাড়ি তল্লাশী করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য, ২৬ জুলাই ২০২০ ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১০ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন।
১৩ আগষ্ট রাতে ঢাকার বনানীর “ক্রিস্টাল ইন ” নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ৩৪ টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলার চোরখালী গ্রামের হুমায়ূন (৩৫) ও কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার ইদারচর গ্রামের দুলাল (২৫) দুই জন ও ১৪ আগষ্ট গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরের মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ , বরফা গ্রামের সৌরভ শেখ , হাসিবুর রহমান ,নাঈম উদ্দিন , মাদারীপুরের নাজমুল হাসান গ্রেফতার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
১৫ আগষ্ট যুবলীগর সভাপতির পদ থেকে পলাশ শরীফকে বহিষ্কার করা হয়।