ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অন্ড স্টাফ কলেজের দায়িত্ব পালন শেষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেলেন নোয়াখালীর কৃতি সন্তান মো. আকবর হোসেন।
পদোন্নতি দিয়ে তাকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) নতুন কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) ডিজি এবং নবম পদাতিক বাহিনীর জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে সুনামের সাথে পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর হোসেন নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর সভায় দক্ষিণ বাজারে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন ও মাতা রহিমা খানম। দাদা মরহুম আলী আহমেদ (ব্রিটিশ শিপে নাবিক ছিলেন) এর বাবার বাড়ি সেনবাগ উপজেলার ৮ নং বিজবাগ ইউনিয়নের সফর আলী মিজি বাড়ি।
পিতা ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার হোসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান বুয়েট থেকে পাস করে কৃষি ভিত্তিক অটোমেটিক আধুনিক শিল্প কারখানার প্রথম উদ্যোক্তা ছিলেন। তার মাতা মরহুম নুরুল হক (এমপি)এর জ্যেষ্ঠ কন্যা একজন রত্নগর্ভা মা পুরস্কার প্রাপ্ত। চার ভাই এক বোনের মধ্যে আকবর হোসেন সবার বড়। তার মেজ ভাই চৌমুহনী পৌরসভার বর্তমান মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল, একমাত্র বোন হাসিনা নাসরিন বাংলাদেশের প্রথম ট্রপিক্যাল মেডিসিন স্পেশালিস্ট, করোনা যোদ্ধা ও চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সেজো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও নাট্যকার, ছোট ভাই ইসমাইল হোসেন মুন্না খুলনা কুয়েট থেকে লেখাপড়া করে এখন ব্যবসায়ী।
আকবর হোসেন প্রথম শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত ঢাকা রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ শেষ করে পরবর্তীতে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৩ সালে। সামরিক উচ্চতর ডিগ্রীগুলো ছাড়াও তিনি বেইজিং ইউনিভার্সিটি তে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এবং চাইনিজ ভাষার উপর লেখাপড়া করেন। ২০২০ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে জনপ্রশাসন বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে সাহির ও এক মেয়ে তাহিয়াত এর জনক। ফেনী জেলার কৃষ্ণ মজুমদার হাটের লুৎফুল হক চৌধুরীর মেয়ে সুফিয়া আকবর তার সহধর্মিণী।