প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ আমাদের বার বার ভোট দিয়েছে। আমারদের ওপর আস্থা রেখেছে, বিশ্বাস রেখেছে। যে কারণে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে মানুষের জন্য উন্নয়ন করতে পারছি।
বৃহস্পতিবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এবং ‘বিকাশ’ এর মাধ্যমে গভর্নমেন্ট টু পারসন পদ্ধতিতে ভাতাভোগীর কাছে টাকা প্রেরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে একটি ঠিকানা দেয়া হবে। ঘরে ঘরে আলো পৌঁছে দেয়া হবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ বছরে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সঙ্গে জড়িতদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই মিলে চেষ্টা করলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো এ বিশ্বাস আমার আছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতির প্রযুক্তির কল্যাণে দেশ এগিয়ে চলেছে। নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যে সংবিধান দিয়ে গেছেন সেটা ভালোভাবে পড়লেও এই সমাজের কোন শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য কী কী করতে হবে তা জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও সচিব জয়নাল বারি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব জানান, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৩১টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মোট ১২৫টি কর্মসূচি চলছে। তাদের মধ্যে ৩১টি নারী, ৩০টি পুরুষ ও ৬৪টি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর, লালমনিরহাট, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার ভাতাপ্রাপ্তরা নিজ নিজ জেলা থেকে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং কোনো প্রকার দুর্ভোগ ও ঝামেলা ছাড়া মোবাইলে টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় করোনা থেকে মুক্ত থাকতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন।